বোয়ালখালি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

নগরী থেকে তুলে এনে বোয়ালখালীতে চাকু দেখিয়ে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ধর্ষক লিটনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশি। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাবি লিটনকে গ্রেফতার চালানো হচ্ছে ব্যাপক অভিযান।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ লিটন (২৯) পুলিশি খাতায় পলাতক বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মাহবুবুল আলম। লিটন বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদন্ডী দেলা সওদাগর বাড়ির মো.বদি আলমের প্রথম সংসারের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, লিটন বিবাহিত তার একটি সন্তানও রয়েছে। সে পূর্ব গোমদন্ডী এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকে।
মামলা বিবরণে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভাত খাওয়া নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে নগরীর সিএন্ডবি কলোনীর ভাড়াবাসা থেকে পায়ে হেঁটে শিশুটি কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় গেলে চলে যায়। সেখান থেকে তুলে এনে অটোরিকশা চালক লিটন বোয়ালখালী গোমদন্ডী রেল স্টেশন এলাকার উত্তর পাশের জঙ্গলে নিয়ে চাকু দেখিয়ে ধর্ষণ করে ও এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়।
পরে রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী থানা রোডের তুলাতল এলাকার দারোয়ান আবু তাহেরকে শিশুটিকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় খুঁজে পেয়েছে বলে বুঝিয়ে দেয় লিটন। এরপর দারোয়ান সকালে গাড়িতে তুলে দিয়ে শিশু বাড়ি পৌঁছে এ ঘটনা খুলে বলে।
মামলার বাদী শিশুটির মা জানায়, অসুস্থ শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সহায়তায় শিশুটির মা বাদী হয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারী ধর্ষক লিটনকে আসামী করে বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দশদিন পর গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) হাসপাতাল থেকে শিশুটি বাসায় ফেরে বলে জানিয়েছে তার মা।
তিনি জানান, শিশুটির বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তারা নগরীর সিএন্ডবি এলাকা ইউসুফ কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটি কালামিয়া স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তিনি নগরীতে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সংসার চালান।
মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আমরা গরীব বলে পুলিশ লিটনকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি। এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে বলেও দাবি করেন তিনি। ধর্ষণের শিকার শিশুটি কানুনগোপাড়া এলাকার মফিজ উদ্দিনের মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালখালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া আসামী লিটনকে গ্রেপ্তারে ব্যাপক পুলিশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।