২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরেই শিরোপার খুব কাছে চলে গিয়েছিল বরিশাল বার্নার্স। ঢাকার কাছে ফাইনাল হারের পর ২০১৫-তে বুলস নামে আবারও ফাইনালে ওঠে বরিশাল। এবার পরাজয় কুমিল্লার কাছে। সাত বছর পর ২০২২ আসরের ফাইনালে আবারও সেই কুমিল্লা কাঁদায় ফরচুন বরিশালকে।
তিনবার ফাইনালে ওঠা বরিশালের কিছুতেই ছোঁয়া হচ্ছিল না সোনালী ট্রফিটা। অবশেষে সবশেষ আসরে ফরচুন নাম নিয়েই কুমিল্লাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তামিম ইকবালের বরিশাল। পাশাপাশি দুইবার ফাইনালে হারের প্রতিশোধও নেয় দক্ষিণবঙ্গের ফ্রাঞ্চাইজিটি।
চ্যাম্পিয়নের তকমাটা ধরে রাখতে এবার যেন আরও জোরেসোরে কোমর বেঁধে নেমেছে বরিশাল। এক কথায় শিরোপা ধরে রাখার মিশনে জাতীয় দলের মতই শক্তিশালী স্কোয়াড গড়েছে বরিশাল।
বরিশালের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গী মুশফিক ও রিয়াদ এবারও বরিশালেই খেলছেন। নাজমুল শান্তও এই দলের সঙ্গী। আবার তরুণ তাওহীদ হৃদয়ও আছেন। তাদের সঙ্গে ডেভিড মালান ও পাথুম নিসাঙ্কা খেলবেন বিদেশি কোটায়।
অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী, কাইল মেয়ার্স, ফাহিম আশরাফ ও জেমস ফুলারের পাশাপাশি রিশাদ হোসেনের কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে বিগ ব্যাশ বিসর্জন দেয়া এই লেগি আদৌ একাদশে কয়টা ম্যাচে সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
বোলিং ইউনিটে দলটির সবচেয়ে বড় চমক শাহিন শাহ আফ্রিদি, টেস্ট সিরিজ ফেলে বিপিএলে ছুটে এসেছেন তিনি। এ ছাড়া এবাদত হোসেন, নান্দ্রে বার্গার, শহিদুল, তানভীর, রিপন মণ্ডল, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলামদের মতো ক্রিকেটার নিয়ে একাদশ সাজাতেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়বেন বরিশালের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল।
বিশ্বের যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতোই আসন্ন বিপিএলের স্কোয়াড সাজিয়েছে ফরচুন বরিশাল। তারকায় ঠাসা দলের ভয় হতে পারে পুরনো বাংলা প্রবাদ- ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’। তাদের জন্য বড় উদাহরণ, আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যদি তা নয়, তবে দ্বিতীয় শিরোপাটা আবারও শোকেজে উঠতে পারে বরিশালের।
প্রসঙ্গত, বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আগামীকাল সোমবার দুপুরে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নামবে তামিম ইকবালের দল। ম্যাচটি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।