ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রামের কেন্দ্রের জৈষ্ঠ প্রকৌশলীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করেছে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রামের কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় প্রকৌশলী খান মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসুচি সঞ্চালন করেন প্রকৌশলী রেজাউল হায়াত খান।
প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, বলেন, ‘প্রকৌশলীদের শাররীকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবে কাম্য নয়। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আতিকুজ্জামান বিল্লাহসহ দোষীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ব্যুরো প্রধান মো. শাহনেওয়াজ, বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারদের কে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসি হামলা কোনোভাবে কাম্য নয়। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সংশ্লিষ্টদের প্রতিবাদ আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নসরুল ক্বাদেরী বলেন, ‘হামলা ঘটনায় জড়িতরা কোনো প্রকৌশলী হতে পারে না। তারা ফ্যাসিবাদের দোসর। তাদেরকে সকল প্রকৌশলীরা একযোগে ভয়কটের ডাক দেয়ার আহ্বান জানান।’
ডা. সরোয়ার আলম বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হামলা। এটা অন্যায়। এটা সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে এই ধরনের কাজ পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ্যাাবের সকল প্রকৌশলীকে তাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।’
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসতেই আইইবির তিন সদস্যকে মারধর করা হয়। মারধরে পর তিনজন কার্যালয়ে না যেতে হুশিয়ারি বরে বের করেন দেন তারা। পরের এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী মো. সাখাওয়াত হোসেন।
চলতি বছরের গত ১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রামে দ্বিতীয়তলায় কার্যালয়ের সেক্রেটারির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগী মো. সাখাওয়াত হোসেন। হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক ওয়ার্কশপ ম্যানেজার ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী মো. দুলাল হোসেন ও প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম।
গত ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আইইবিতে বিতর্কিত প্রকৌশলী সোহান আহমেদ টিটু বহিরাগত সন্ত্রাসিদের নিয়ে হামলার প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয় এ্যাব কেন্দ্রিয় সভাপতি ও মহাসচিব বরাবরে। ওই প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, আমরা সাধারণ প্রকৌশলী ও এ্যাব চট্টগ্রামের সদস্য হিসেবে হত ১৪ ডিসেম্বরের পরিকল্পিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ওইদিন প্রকৌশলী আতিকুজ্জামান বিল্লাহ এ্যাবের ভাবমুর্তি কলঙ্কিত করেছে। তাই আমার এ্যাবের সমর্থিত প্রকৌশলীগণ মনে করি আতিকুজ্ঝামান বিল্লাহর মতো অযোগ্য ব্যক্তি এ্যাবের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। হামলার ঘটনায় আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, সোহান আহমেদ টিটু, মুনতাসির মুন্না, শহীদুজ্জামান কিরণ, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি লাভলুসহ কয়েকজন উশৃঙ্খল এ্যাবের সদস্যদেরকে তদন্ত করে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিডিএর বোর্ড সদস্য প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, প্রকৌশলী মিসবাউল আলম, প্রকৌশলী রাশেদ আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) মেডিকেল শাখার সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. তমিজ উদ্দিন মানিক, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, জিয়া পরিষদের সভাপতি জসিম ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতি সমিতির সভাপতি আহমেদ ছফা ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
এদিকে প্রতিবাদ সভার মুঠোফোনে সংহতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেমাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী।
সভায় প্রকৌশলী মো. এনামুল হক, প্রকৌশলী মামুনুল বাশারীসহ এ্যাব চট্টগ্রামের সকল প্রকৌশলীবৃন্দ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ জৈষ্ঠ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।