বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি ভয়ংকর বন্যা সত্বেও কন্টেইনার এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে ৩২ লাখ ৭৬ হাজার কন্টেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ মেট্রিক টন পন্য হ্যান্ডলিং হয়েছে বন্দরে।
২০২৩ সালের তুলনায় কনটেইনারে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, কার্গোতে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম বান্দর পরিদর্শন করে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ সংখ্যক কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ২০২৪ সালের পঞ্জিকাবর্ষ অনুযায়ী রাজস্ব আয় ৫০৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা যা গত বছরের (রাজস্ব আয় ৪১৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা) তুলনায় ২১ দশমিক ৩৯ বেশি এবং রাজস্ব উদ্বৃত্ত ২০২৪ সালের পঞ্জিকাবর্ষানুসারে ২৯৪৮ কোটি ৯৭ লাখ যা গত বছরের (২১৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা) চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের পঞ্জিকাবর্ষ অনুযায়ী রাজস্ব ব্যয় ২১০৭ কোটি ২ লাখ টাকা যা গত বছরের (রাজস্ব ব্যয় ২০২২ কোটি ৮ লাখ টাকা) তুলনায় ৪ দশমিক ২০ শতাংশ কম।
মূলত ডলার সংকট কাটিয়ে দেশের আমদানি – রপ্তানী বাণিজ্য গতিশীল হওয়ায় বন্দরের এই সফলতা বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের ব্যস্ততম একশ বন্দরের মধ্যে ৬৭ তম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বন্দরকে গত কয়েক বছর ধরেই নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে। এর মধ্যে ডলার সংকটের মুখে বিলাসবহুল পন্য আমদানিতে লাগাম টানায় ভাটা পড়েছিলো বন্দরের কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে। ২০২৩ সালে
কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৩০ লাখ ৫০ হাজার এবং কার্গো ১২ কোটি ২ লাখ মেট্রিক টনে নেমে এসেছিলো।
চলতি বছরের জুলাই এবং আগষ্টে ছাত্র – জনতার আন্দোলনের পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাস বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। এতো সংকটের মাঝেও ২০২৪ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩২ লাখ ৭৬ হাজার কন্টেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ মেট্রিক টন পন্য হ্যান্ডলিং হয়েছে এখানে।