
অাদালতের রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী চলমান পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে বুধবার সকাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অচল হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার কর্মব্যস্ত মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
গতকাল প্রথম দিনে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও আজ ভোর থেকে মহানগরী জেলা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামে রিক্সা, মোটর সাইকেল এবং প্রাইভেট গাড়ি ছাড়া সব ধরণের যানবাহন বন্ধ রয়েছে।

সকাল থেকে দু একটি বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও পরিবহন শ্রমিকদের পথে পথে বাধার কারণে তাও বন্ধ হয়ে যায়। সকালে সাড়ে ৮টর দিকে নগরী কাজীর মোড়ে যাত্রীবাহি কয়েকটি সিটি বাস লেগুনা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে দেখা গেছে পরিবহন শ্রমিকদের বাধারমুখে। নগরীতে সিএনজি অটো রিকশাাও চলছে না। ফলে অফিসগামী কর্মজীবি নারী পুরুষ এবং স্কুল কলেজমুখি শিক্ষথীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
সকাল থেকে নগরীর সিইপিজেড লালখান বাজার পতেঙ্গা, কালুরঘাট চকবাজার এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে চালকরা। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কিছু যানবাহন।

এদিকে দুইদিন ধরে টানা ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহি কন্টেইনার ভর্তি গাড়ি যেতে না পারায় বন্দরে আবারও কন্টেইনারে স্তুপ পড়েছে। জাহাজ থেকে পণ্যখালাস হলেও তা বাইরে যেতে পারছে না।
পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিশুক মুনীরসহ নিহত পাঁচজনের মৃত্যুর দায়ে বাসচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে সারাদেশে শ্রমিকরা কর্ম বিরতি পালন করছে।

পূর্বাঞ্চলীয় (বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট) সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, সড়কে গাড়ি চললে দুর্ঘটনা হবেই। আর দুর্ঘটনা কেউ ইচ্ছাকৃতভারে ঘটায় না।
এর জন্য চালককে সাজা দিতে হবে কেন। কেউ যদি শক্রুতা করে কাউকে খুন করে তার ফাঁসি অবশ্যই মেনে নেয়া যায়।
কিন্তু দুর্ঘটনাতে কারো হাত থাকে না। তােহলে এটার জন্য কেন সাজা হবে প্রশ্ন রাখেন এ প্রবীণ শ্রমিক নেতা।
সিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) সুজায়েত ইসলাম জানান, শ্রমিক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে নগরীতে বাস ট্রাকসহ কোন ধরণের যানবাহন চলাচল না করায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। একই সাথে জেলার এবং দুর পাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি।