
এক রোগীর স্বজনদের মারধরের ঘটনায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার শিক্ষানবিস চিকিৎসকের ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে চিকিৎসক নেতাদের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বগুড়ার শিক্ষানবিস ৪ চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে মন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এর আগে গত ২ মার্চ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ওই সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছিল, স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে ওই চার শিক্ষানবিস চিকিৎসকের মধ্যে ডা. মো. আশিকুজ্জামান আসিফ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ডা. নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ডা. এমএ আল মামুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ডা. মো. কুতুবউদ্দিন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক ইন্টার্নি চিকিৎসককে আপা সম্বোধন করায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর স্বজনদের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা মারপিট করেন। এ ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্নি চিকিৎসদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। এ ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তদন্ত কমিটির সুপারিশ তুলে ধরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ইন্টার্নি চিকিৎসক কর্তৃক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও রোগীর ছেলেকে শারীরিক নির্যাতন একটি গর্হিত কাজ বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।