
চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানীকৃত ১২ কন্টেইনার ভর্তি আমদানী নিষিদ্ধ ১৩৪ কোটি টাকার এলইডি টিভি, সিগারেট, মদ ও ফটোকপি মেশিন জব্দ করার ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর ঢাকার উপ-পরিচালক মো.জাকির হোসেনকে প্রধান করে মঙ্গলবার গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো.সাইফুর রহমান ও চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.তারেক মাহমুদ।
মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খানের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি জানান, এ কমিটি ৪টি কারণ তদন্ত করে দেখবে। সেগুলো হল-১২ কন্টেইনার আমদানীকারকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত তথ্য উৎঘাটন। ঘটনার সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ এলসি ওপেনিং ব্যাংক, শিপিং এজেন্টে, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এর কোন ব্যাক্তি জড়িত কিনা তা পর্যালোচনা করে চিহিৃত করা। আমদানীকারক কর্তৃক পূর্বে আমদানীকৃত পণ্য চালানে একই পণ্য আমদানী করা হয়েছে কিনা এবং ঐ চালানোর সাথে কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা। অপরাধের সাথে মানিলন্ডারিং এর উপাদান রয়েছে কিনা। এসব বের করা।

উল্লেখ্য অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় ১২টি কন্টেইনারে আমদানি নিষিদ্ধসহ ১৩৪ কোটি টাকার পণ্য আনে আমদানিকারক খোরশেদ আলম। ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ঘোষণায় চীন থেকে আনা চালান দুটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান রাবেয়া এন্ড সন্স। চালান আটকের পর থেকে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক রয়েছেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে আনা ১২টি কন্টেইনারে ১৬ হাজার ১৭০ বোতল মদ, ৩ কোটি ৮৪ লাখ শলাকা সিগারেট, ৪ হাজার ৭৪টি এলইডি টেলিভিশন ও ২৮১টি আমদানি নিষিদ্ধ ফটোকপি মেশিন পাওয়া যায়।