
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছাত্রলীগ নামধারী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৭/৮ জন আহত হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ১১ মাইল এলাকায় শিল্প বাণিজ্য মেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে মোহাম্মদ আরশাদ নামে এক নীরিহ সিএনজি চালককে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আরশাদ মেখল ইউনিয়নের সানা উল্লাহ খন্দকার বাড়ির মো. মিয়ার ওরফে কালা বাছার ছেলে। ঘটনার সময় মেলার পাশে তিনি তার ভাইয়ের দেকানে গিয়েছিলেন।
জানাগেছে কথা দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে কাটাকাটির মত তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে রাতে শিল্প বানিজ্য মেলায় মঞ্জু গ্রুপ ও নোমান গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দুই গ্রুপ লাঠিসোটা বাশঁ এবং ধারালো লম্বা কিরিচ নিয়ে পরস্পরের প্রতি ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় মেলা আগত দর্শনার্থীরা ভয়ে পালাতে থাকে।
ছাত্রলীগ কর্মীরা নিজেদের দলের লোকজনকে না পেয়ে মেলায় আগত সাধারণ মানুষদের পিটাতে থাকে। এসময় মঞ্চের পাশে লুকিয়ে থাকা সিএনটি চালক আরশাদকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে প্রহার করে। পরে তাকে লম্বা কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৭/৮ জন আহত হয় বলে প্রতক্ষ্যদশীরা জানান।
অন্য একটি সুত্র বলেছে, আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে শিল্প বাণিজ্য মেলা নামে এ মেলা শুরু হলেও এর সাথে হাটহাজারীর কোন ব্যবসায়ি বা ব্যবসা বাণিজ্যের সম্পর্ক নেই
বাণিজ্য মেলার নামে এখানে গভীর রাত পযন্ত চলছে লটারীর নামে জুয়ার আসর। যা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হারিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে সারাধরণ মানুষ। মূলত এ লাটারীর চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারীর থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর পাঠক ডট নিউজের কাছে প্রথমে সংঘর্ষের খবর অস্বিকার করেন। পরে বিস্তারিত তথ্য সুত্র জানালে তিনি বলেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারি হয়নি। তবে কারা কেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে তিনি জবাব না দিয়ে ফোন লাইন কেটে দেন।