ঢাকা চলচ্চিত্ত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিজু আহমেদ আর নেই। সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটেহৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
জানা গেছে, রাতের ট্রেনে ঢাকা থেকে দিনাজপুরে শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দর স্টেশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিনেতা মিজু আহমেদের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। চলচ্চিত্রশিল্পীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতার প্রতি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহসভাপতি চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন, ‘মিজু আহমেদের মৃত্যু আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য শুন্যতা তৈরি করে দিয়ে গেলো। মিজু আহমেদের মরদেহ এখন কুর্মিটোলা হাসপাতালে রয়েছে। সেখানেই যাচ্ছি।’
মিজু আহমেদ মূলত খল অভিনেতা হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রেবেশি পরিচিত। তবে একজন প্রযোজক হিসেবেও ঢালিউডে পরিচিত রয়েছে তার।
মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম মিজানুর রহমান। ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
তার অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে-তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা (২০০৬) ইত্যাদি।
‘তৃষ্ণা’ সিনেমায় অভিনয় করে তিনি সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।