ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার ডকুমেন্টটা ভারত থেকে নিয়ে আসুন- আমীর খসরু

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে জিয়াউর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার ডকুমেন্ট নিয়ে আসতে বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জিয়াউর রহমান শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। সংগঠনের সভাপতি ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন ডকুমেন্টের বক্তব্যের মধ্যে বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্যে আছে যে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন। যখন ৭ এপ্রিল আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) পার্শ্ববর্তী দেশে যাবেন, দয়া করে অন্তত সেখান থেকে সেই ডকুমেন্ট নিয়ে আসতে পারেন। এখানে না হয় অস্বীকার করবে কিন্তু সেখানে তো অস্বীকার করবে না। অনেক কিছুই তো আনছেন এবার না হয় ভারত থেকে ওই জিনিসটা নিয়ে আসেন। কারণ ভারত সেই যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই ভারতের কাছে সরাসরি লিখিত ডকুমেন্ট আছে।

সম্প্রতি সিলেটে ঘটে যাওয়া জঙ্গিবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ এই জঙ্গি কারো জন্যে ভালো নয়। যখন জঙ্গির উৎত্থান হবে এটা বাংলাদেশের কারো জন্য ভালো বার্তা বয়ে আনবে না। জঙ্গি সকলের শুত্রু। আজকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসনের যে ঘাটতি সৃষ্টি করা হয়েছে এই ঘাটতি পূরণ করবে জঙ্গিরা। এটাই নিয়ম। তাই জঙ্গিকে যদি দমন করতে হয়, এই ঘাটতিকে পূরণ করতে হবে গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মাধ্যমে। আর যদি সেটা না করা হয় তাহলে এই জঙ্গির উৎত্থান যখন হবে আমরা সবাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবো। বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং সাংবাদিক যারা আছেন তারাও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। কারণ সেটা হবে সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন চিত্র। নিশ্চয়ই আমরা সে চিত্র দেখতে চাই না।’

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন, আমরা চাই দেশে একটি নির্বাচিত সরকার ও সংসদ বজায় থাকুক। যার উপর জনগণের আস্থা থাকে। কিন্তু এর বাইরে কোনো সমাধান নাই। সমাধান করতে চাইলে দেশকে আগুনের মুখে ঢেলে দেওয়া হবে।

প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তির জন্য যদি এক বছর অপেক্ষা করতে পারে তাহলে ভারতের সঙ্গে আইনগত বাধ্যবাধকতা নাই। সেই প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে এত তাড়াহুড়া কেন? সেই চুক্তির জন্য এত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কেন। চুক্তিতে সই করতে বাংলাদেশকে নতজানু হয়ে ভারত যেতে হচ্ছে কেন? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তিনি বলেন, বলা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে কাজ করবে। কিন্তু সেই যৌথ থ্রেটটা কী? যদি এক সঙ্গে মোকাবেলা করতে হয় সেক্ষেত্রে যেটা ভারতের জন্য চাহিদা সেটা বাংলাদেশের জন্য তো নাও হতে পারে। কারণ দু’দেশের উপলব্ধি এক নাও হতে পারে। বরং আমার যেটা চাহিদা সেটা তো আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজস্ব স্বকীয়তা থেকে দূরে সরে গিয়ে সবকিছু যদি আমাকে শেয়ার করতে হয় তাহলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী রাখার প্রয়োজন নাই।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print