চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন বিএনপি নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান থানার সীমান্তের কর্ণফুলী নদীর কাছে পড়ে থাকা লাশ শনাক্ত করেছে পরিবারের সদস্যরা।
তবে বেলা ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ লাশ উদ্ধার করেনি।
ঘটনাস্থল থেকে পৌনে ৩টার দিকে নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুর ভগ্নিপতি জাফর আহমেদ লাশটি নূরুর বলে শনাক্ত করেছেন। তিনি জানান, নুরুকে গুলি করে ত্যা করা হয়েছে। তার মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ ভূঁইয়া জানান, আমরা এ ধরণের লাশের কোন খবর পায়নি। তবে আপনাদের সাংবাদিকরা ফোন করে জানতে চেয়েছেন। যদি আমাদের এলাকায় এ ধরণের কোন লাশ থাকে আমরা ্উদ্ধার করে ব্যবস্থা নেবো।
রাউজান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ পাঠক ডট নিউজকে জানান, রাউজানে কোন লাশের খবর আমার জানা নাই। আমরা কাউকে আটক করিনি। তিনি বলেন, এখন পুলিশ জঙ্গি ইস্যূ নিয়েই ব্যস্ত। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী েগ্রেফতারে আমাদের কোন অভিযান চলছে না।
উল্লেখ্য বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে সাড়ে ১১টায় নগরীর চকবাজার থানার কাতালগঞ্জস্থ বাসা থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নূরুল আলমরক হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যায় ৮/১০ সাদা পোষাক ধারী পুলিশ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও ছাত্রদল নেতা নূরুল আলমের ভাগিনা মো. রাশেদ জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১০ জন লোক আসে, তারা পাঁচজন পুলিশের পোষাক পরা ছিল আর ৫ জন সাধা পোষাকে ছিল। আমার মামার নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে তাকে হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
জানাগেছে, ছাত্রদল নেতা নুরুর নামে হত্যা নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাউজান থানায় ৮/১০ মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
কেন্দ্রিয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ছাত্রদল নেতা নূরুল আলম নুরুকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রাতে তাকে ধরে নেয়ার পর থেকে পুলিশ আটকের বিষয়টি স্বাীকার না করাই আমরা এ আশঙ্কা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তিনি এভাবে নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গুম হত্যা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনে প্রতি দাবী জানান।
এদিকে কেন্দ্রিয় ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিময় ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ছাত্রদল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যৌথভাবে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
তবে সমাবেশ চলাবস্থয় পুলিশ ধাওয়া করে সভা পণ্ড করে দেয়। এসময় উত্তেজনা সৃস্টি হয়। বিপুল পুলিশ নাসিমন ভবন এলাকায় অবস্থান নেয়।
আজকের এ প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে নূরু হত্যার প্রতিবাদে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা থাকলেও পুলিশী বাধারা কারণে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেনি ছাত্রদল নেতারা।
তবে আগামীকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ছাত্রদল নেতারা।