
অন্যায়কারী প্রতিরোধে প্রস্তুত ৫হাজার লাঠি বানিয়ে রেখেছি উল্লেখ্য করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, অস্ত্র রাখাটা অপরাধ, লাঠি রাখা অপরাধ নয়। তাই লাঠি রেখেছি। অন্যায়কারী যেই হোক না কেন, তার প্রতি আঘাত করার জন্য আমার লাঠি প্রস্তুত।
আজ ’মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন এবি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের মনে সাহস আসার জন্য লাঠির ব্যবস্থা করেছি। একেকটা লাঠির ওজন১৫০ গ্রাম।’
এসময় নিজের পাশে রাখা লাঠি হাতে তুলে নেন মহিউদ্দিন চৌধুরী; বলেন, ‘এখানে একটা আছে। আরো আছে ছোট-বড়। মারামারি করার সময় শক্তি এসে যাবে।
’লাঠিগুলো কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন ফের বলেন, ‘অপশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জনগণ এই লাঠি হাতে নিয়ে এগিয়ে যাবে। লাঠি হাতে থাকলে মনের সাহসটা বাড়বে। অন্যায়কারীরা দুর্বল হয়ে যাবে।

মহিউদ্দিন আরো বলেন, আপনি অন্যায় করলে আপনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা, সংশোধন করা, কথা বলার অধিকার আমি রাখি। তাছাড়া আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
’এখানে হয়তো বা কেউ মনঃক্ষুন্ন হতে পারে। মনঃক্ষুন্ন হওয়ার কিছু নেই,
তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে এটা গ্রুপিং নয়, দ্বিধা-দ্বন্ধও নয়। আমার সাধারণ সম্পাদক যদি অন্যায় করে থাকে, আমার দায়িত্ব তাকে সংশোধন করা।
অন্তর্জালা থেকে এসব বক্তব্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে (নাছির) প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি সমর্থন করেছি। অন্তর্জালা থাকলে তো সমর্থন করতাম না। কিন্তু মেয়র হিসেবে তিনি অযোগ্য, অথর্ব। তিনি যদি সংশোধন হয়ে আসেন তাহলে আবারও তার পাশে থাকবো।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে খুনের তথ্যপ্রমাণ তার কাছে রয়েছে উল্লেখ্য করে সাবেক এ মেয়র বলেন, প্রয়োজনে তা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার লালদীঘি মাঠে এক সমাবেশে মহিউদ্দিন আ জ ম নাছির এর বিরুদ্ধে ১২টি খুনের অভিযোগ করেন।
মহিউদ্দিনের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে সিটি কর্পোরেশন ভবনে মেয়র নাছির মহিউদ্দিনের এ অভিযোগের চ্যালেঞ্জ করে খুনের প্রমাণ দিতে বলেন।
নাছিরের খুনের প্রমাণ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, যখন প্রয়োজন হবে তখন প্রমান দেবো।
“উনার রাজনৈতিক জীবনে কমপক্ষে ১২টা ছাত্রলীগের ছেলেকে খুন করেছেন। তার ইন্ধনে। মামলা তো হয়েছে। হয়তো উনি ক্ষমতায় আছেন বিধায় মামলাগুলো তুলে ধরা হচ্ছে না।”
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ সোহেল খুনের ঘটনা উল্লেখ করে মহিউদ্দিন বলেন, “প্রিমিয়ারের একটা ছেলেকে মেরে ফেলল। ক্যামেরা ছিল। ফুটেজ কেটে দিয়েছে, কার সাহস? উনার (নাছির) সাহসের জোরেই তার নির্ধারিত ছেলেরা খুন করেছে। খুন করে কি রাজনীতি করা যায়?”
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “উনি মামলার আসামি ছিলেন। শেখ হাসিনা অনেক আগে লালদীঘিতে মিটিং করছিলেন। সে মিটিংয়ে তিনি গুলি করেছিলেন। আহত ব্যক্তি মামলা করেছে। তার ট্রায়াল চলছিল।