ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কওমি সনদের স্বীকৃতির পর থেকে হেফাজতের বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী ছাপছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

জুনাইদ বাবুনগরী।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী এক বিবৃতিতে বলেছেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষা এবং দেশের শীর্ষ ওলামাদেরকে নিয়ে কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাধারণ জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুগভীর ষড়যন্ত্র করছেন।

কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদের এমএ সমমান ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই এই চিহ্নিত মহলটি ধারবাহিকভাবে দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসা ও হেফাজতে ইসলাম এবং আমিরে হেফাজতকে নিয়ে নানা কল্পকাহিনী তৈরি করে আলেমসমাজ ও ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে।তিনি বলেন, মুসলমানদের ঈমান-আকিদার হেফাজত ও নাস্তিক্যবাদী অপশক্তির মোকাবেলায় আমরা সবসময় সোচ্চার রয়েছি। কোন তাগুতি শক্তির সামনে আমরা মাথানত করব না।

বিবৃতিতে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, বিগত ২৪ ও ২৫ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ মুরব্বি, হেফাজতে ইসলামের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী , হাটহজারী মাদ্রাসা এবং কওমি শিক্ষার বিরুদ্ধে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতিকে লঙ্ঘন করে একাধিক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার কোন সত্যতা নেই। হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক ঈমান-আকিদাভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন।

হেফাজতের কোন রাজনৈতিক উচ্চাবিলাস নেই। সরকার বা বিরোধী দলের সঙ্গে কোন গোপন সম্পর্কও নেই। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানোর এজেন্ডাও আমাদের নেই। সুতরাং গোপন যোগাযোগের যে মিথ্যা সংবাদ যুগান্তর প্রকাশ করেছে তা হলুদ সাংবাদিকতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের নামে মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির যে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আল্লামা আহমদ শফী দেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও শাইখুল হাদীস। তিনি আলেমকুল শিরোমণি। অর্থ-বিত্ত বা ধন-সম্পদ অর্জনের প্রতি তার কোন লোভ-লালসা নেই। তিনি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও সাদাসিদে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট তিনি নিজ নামে জমি বরাদ্ধের কোন আবেদন কোনদিন করেননি।

রেলওয়ের যে জমি নিয়ে কতিপয় মিডিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তা ২০০৮ সালে হাটহাজারী মাদরাসার নামে বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য যথাযত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর অনুমতিক্রমে সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে। ঐ জমিগুলো মাদরাসার নিজস্ব জমির মধ্যখানে ও পার্শ্ববর্তী হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন থেকে মাদরাসার দখলে রয়েছে। এই জমিগুলো হাটহাজারী মাদরাসার প্রয়জনেই আবেদন করা হয়েছে, আল্লামা আহমদ শফীর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নয়। সুতরাং এই বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট