
নগরীর হালিশহর থানার ঈদগা বড় পুকুর পাড় মসজিদের কর্তৃত্ব দখলে নিতে শুক্রবার জুমা’র নামাজের সময় সন্ত্রাসীরা মুসল্লিদের অবরুদ্ধ এবং মসজিদ কমিটি সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে।
এতে ইদ্রিস ও মোহাম্মদ সহ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে। রামপুর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার (কাউন্সিলর) ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফয়েজ আহমদের পক্ষে তার ভাইদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন মসজিদ কমিটির নেতারা।
এছাড়া লাঠিসোটা দা-কিরিচ নিয়ে সন্ত্রাসীর ঘেরাওয়ের কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় অাধঘন্টা পরে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় বলে মুসল্লিরা অভিযোগ করেন। এসময় পুরো এলাকাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে হালিশহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
জানাগেছে, রামপুর এলাকার ধর্নাঢ্য ব্যাক্তি মরহুম এয়াকুব আলী কন্ট্রাক্টরের পারিবারিক সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় বড় পুকুর পাড় জামে মসজিদ। মসজিদের নামে বেশ কিছু সম্পত্তি এবং বিশাল পুকুরও ওয়াকফ করা হয়। মসজিদের সাথে লাগোয়া এয়াকুব অালী পারিবারিক বিশাল কবরাস্থানও রয়েছে।
এয়াকুব আলী কন্ট্রাক্টরের পুত্র আবু মোহাম্মদ এবং এলাকার মোজাম্মেল নামে এক ব্যাক্তি যৌথভোবে মতোয়ালীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ঘটনার ব্যাপারে রাতে আবু মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার সাবেক কমিশনার ফয়েজ আহমদ মসজিদের কর্তৃত্ব দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। মূলত মসজিদের নামে ওয়াকফ করা ভু-সম্পত্তি এবং বিশাল পুকুর দখলের জন্য তারা চেষ্টা করে আসছিল।
আজ শুক্রবার জুমা’র নামাজের সময় তারা আগামী রমজান মাসে জন্য হাফেজ নিয়োগে ইস্যূ তুলে ফয়েজ কমিশনারে সন্ত্রাসী ভাইদের নেতৃত্বে লাঠিসোটা কিরিচ লোহার রড নিয়ে মসজিদ ঘেরাও করে মুসল্লি ও কমিটির সদস্যদের উপর হামলা করেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে তারা পালিয়ে যায়। হামলায় কেয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ফয়েজ কমিশনারের সাথে যোগোযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পক্ষের শিবলু নামে একজন জানান, কোন হামলা ঘটনা ঘটেনি। বরং রমজান মাসে নতুন করে হাফেজ নিয়োগ দেয়া না দেয়া নিয়ে কমিটির সাথে ফয়েজ ভায়ের বির্তক হয়েছে। এটা নিয়ে সমজিদে কিছুটা উত্তেজনা হয়েছিল।
ঘটনার ব্যাপারে হালিশহর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, দুপুরে জুমা’র নামাজের সময় বড় পুকুর এলাকায় মসজিদে গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। পুলিশ যাওয়ার আগে বিরোধ থেমে যায়।
এদিকে মসজিদ কমিটির মতোয়াল্লী মো. মোজাম্মেল রাতে ১১টার দিকে জানান, ঘটনার ব্যাপারে দায়ের করতে তারা হালিশহর থানায় অবস্থান করছেন।