ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯: নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিগত দু’দিন যাবৎ ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান, রাঙ্গুনিয়া এবং চন্দনাইশ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধস হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে পাহাড় ধস, জলোচ্ছাস, দেয়াল চাপা পড়ে চট্টগ্রামে মহানগরী ও জেলায় সর্বমোট ২৯ জন নিহত হয়েছেন।

নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং ত্রিশ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। আহতদের পরিবারকে দেয়া হয়েছে নগদ ৫ হাজার টাকা করে। এছাড়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলার জন্য ১০ টন করে ২০ টন, চন্দনাইশ উপজেলার জন্য ৫ টন এবং লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার জন্য ৩ টন করে ৬ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

.

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যমতে, ভারী বর্ষণের ফলে রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় ধসে ১৬ জন, পাহাড়ি পানির ঢলে ৬ জন, চন্দনাইশে পাহাড় ধসে ৪ জন, রাউজানে পাহাড়ি পানির তোড়ে ১ জন এবং আকস্মিক টর্নেডোয় বাঁশখালীতে ঘরের দেয়াল ধসে ১ জন, চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর হালিশহর ২৬ নং ওয়ার্ডে ঘরের দেয়াল ধসে ১  জনসহ ২৯ জন নিহত এছাড়া, চন্দনাইশে ২ জন, উত্তর হালিশহরের ২৬নং ওয়ার্ডে দেয়াল ধসে ৫ জন, বাঁশখালীতে ২ জনসহ মোট ৯ জন আহত হয়েছেন। এদিকে রাঙ্গুনিয়ায় ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পাহাড় ধস শুরু হবার পর মহানগর এবং উপজেলাগুলোর পাহাড়ি এলাকা এবং পাহাড় সংলগ্ন অবৈধ বসতিগুলো থেকে প্রায় ৫০০ পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর জানান, ভারী বর্ষণের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেয়েই চট্টগ্রম মহানগরীর এবং উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশ হতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে ক্রমাগতভাবে ব্যাপক মাইকিং করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এছাড়া, স্থানীয় ক্যাবল টিভি চ্যানেলে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানানো হয়।

.

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’গণদের সমন্বয়ে গঠিত ২ টিম চট্টগ্রাম মহানগরীর মতিঝর্ণা, একে খান ও বায়েজিদ এলাকা সহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি বসতি থেকে দেড় শতাধিক পরিবারকে অর্থাৎ আনুমানিক ৭৫০ জন লোককে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। উপজেলাসমূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাঙ্গুনিয়ায় ৫৮০ টি পরিবারের ২ হাজার জন, চন্দনাইশে ৫০ টি পরিবারের ২৫০ জনসহ মোট প্রায় ৩ হাজার জনকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ও এর আশপাশ থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ এবং উদ্ধার তৎপরতা কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সমন্বয় করা হচ্ছে। পাহাড় ধ্বস, জলাবদ্ধতা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে ক্রমাগত ক্ষয়-ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে সময়ে সময়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print