ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ঘুরে আসুন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

বাংলাদেশের ভিতরে কোথাও ভ্রমনে চিন্তা করলেই সবার প্রথমে অবশ্যই কক্সবাজারের কথা আসবে মাথাতে। শুধু দেশীয় পর্যটক না, দেশের বাইরে থেকেও প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক বিশ্বের সবচাইতে বৃহৎ এই সমুদ্র সৈকত দেখতে আমাদের এই দেশে আছেন। বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ। সকালবেলা দিগন্তে জলরাশি

ভেদকরে রক্তবর্ণের থালার মতো সূর্য। অস্তের সময় দিগন্তের চারিদিকে আরো বেশি স্বপ্নিল রঙ মেখে সে বিদায় জানায়। এসব সৌন্দর্যের পসরা নিয়েই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে রচনা করেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এই কক্সবাজারে শুধু সৈকত নয়, পাশাপাশি রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। অনেকের সেই তথ্যগুলো জানা না থাকার কারনে এই জায়গাগুলো দেখা হয়নি। তাতে ভ্রমনের মজা অপূর্ণ থেকে যায়। আজকে আমার লেখাতে কক্সবাজারের ভ্রমনের সকল তথ্য দেওয়া চেষ্টা করব। আশা করি, এ পোস্টটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ভ্রমণ গাইড হিসেবে কাজ করবে। কক্সবাজার সম্পর্কিত কয়েকটি সাধারণ তথ্যঃ নামকরণঃকক্সবাজারের আদি নাম পালংকী। কথিত আছে, ১৭৯৯ সালে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামের একজন এখানে এসে একটি বাজার স্থাপন করেন। আর তার নাম অনুসারে কক্স সাহেবের বাজার এবং পরে কক্সবাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সীমানাঃ চট্টগ্রামে অবস্থিত এ জেলার মোট আয়তন ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার। কক্সবাজারের উত্তরে চট্টগ্রাম, পূর্বে-বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও মিয়ানমার, পশ্চিম ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। নদীঃ মোট ৫টি নদী রয়েছে এ জেলাতে। এগুলো হলো- মাতামুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কোহালিয়া ও নাফনদী। দ্বীপঃ আমরা শুধু সেন্টমার্টিন দ্বীপে গেলেও এখানে আকর্ষণীয় ৫টি দ্বীপ রয়েছে। এগুলো হল- মহেশখালী, কুতুবদিয়া,

তারা সেখানে গেলে সমুদ্রের পাশাপাশি এগুলো সময় করে অবশ্যই দেখবেন। যারা কক্সবাজার আগে অনেকবার গিয়েছেন কিন্তু সমুদ্র ছাড়া আর কিছুই দেখা হয়নি, তাদের জন্য এ তথ্যগুলো আফসোস বাড়িয়ে দিবে নিশ্চিত। আফসোস না করে নতুন করে আবার ভ্রমনের প্রস্তুতি নিন, আর চোখ খুলে দেখুন বাংলাদেশের সৌন্দয। আজগবি মসজিদঃ আজগবি মসজিদটি শাহ সুজার আমলে তৈরি অর্থাৎ ১৬০০ – ১৭০০ খৃস্টাব্দে নির্মিত। স্থানীয়ভাবে এটি চৌধুরী পাড়া মসজিদ হিসেবেও পরিচিত। কক্সবাজার পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্পের উত্তরদিকে অবস্থিত। কক্সবাজার পৌরসভার গেইট থেকে রিকশা কিংবা টমটম এ গেলে ভাড়া পড়বে ৩০ টাকা। প্যাগোড়া (জাদী): কক্সবাজারে রয়েছে অনেক প্যাগোড়া। পুরানো নিদর্শন হিসেবে এগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। রাখাইন সম্প্রদায় কর্তৃক কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফের পাহাড় বা উচুঁ টিলায় স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এগুলো নির্মিত হয়। ১৭৯০ সালের দিকে বার্মিজরা আরাকান বিজয়ের পর এগুলো নির্মাণ করা হয়। বৌদ্ধ ক্যাং: কক্সবাজারে ৭টিরও বেশি বৌদ্ধ ক্যাং রয়েছে। আগ্গা মেধা ক্যাং ও মাহাসিংদোগীক্যাং সবচেয়ে বড়। এসব জায়গাগুলোতে স্থাপিত বৌদ্ধ মূর্তিগুলো দেখার মত এবং ছবি ফ্রেমে বন্দী করে রাখারমত আকর্ষণীয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও বিষু উৎসব এসব জায়গাতে উদযাপন করা হয়। তাই এসময়গুলোতেই এখানে আসলে বেশি মজা পাবেন। রামকোট তীর্থধাম: ৯০১ বাংলা সনে স্থাপিত এ তীর্থধামটি রামকোট বনাশ্রমের পার্শ্বের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। কথিত আছে রাম-সীতা বনবাসকালে এই রামকোটে অবস্থান করেছিলেন। তীর্থধামে মন্দিরের পাশাপাশি আলাদা একটি বৌদ্ধ বিহারে ধ্যানমগ্ন ছোট একটি বৌদ্ধমূর্তিও রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, দু’টি ধর্ম পাশাপাশি শান্তিতে সহাবস্থানের প্রমাণ স্বরূপ সম্রাট অশোকের সময়ে এই মূর্তি স্থাপিত হয়। ছেংখাইব ক্যাং: কক্সবাজারে রামুর শ্রীকুলস্থ বাঁকখালী নদীর তীরে ছেংখাইব ক্যাং (বৌদ্ধ বিহার) অবস্থিত। এখানে অনেক শ্বেত পাথরের মূর্তি এবং নানা রকম নকশাখচিত আসন এবং বিভিন্ন পুরানো নিদর্শন রয়েছে। এ রামু থানাতে ২৩টি বৌদ্ধ বিহারে শতাধিক মূল্যবান বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। কানা রাজার সুড়ঙ্গ: শুধু হিন্দু কিংবা বৌদ্ধদের তীর্থস্থান না। এগুলো ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক পুরানো নিদর্শণ। উখিয়া থানার জালিয়া পালং ইউনিয়নে পাটুয়ার টেক সৈকতের কাছে নিদানিয়া পাহাড়ের মধ্যে রয়েছে সুড়ঙ্গ বা গর্ত, যাকে কানা রাজার সুড়ঙ্গ বলা হয়। কথিত আছে, জনৈক মগ সম্প্রদায়ের এক চোখ অন্ধ এক রাজার শাসন আমলে আত্মরক্ষার জন্যেএই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ করা হয়। মাথিনের কূপ: মাথিনের অতৃপ্ত প্রেমের ইতিহাসের নীরব সাক্ষী মাথিনের কুপ। টেকনাফথানা প্রাঙ্গণে এ কূপের অবস্থান। এটিও একবার দেখে আসতে পারেন, সময় থাকলে। ১৯৯৪ সালে বাশের তৈরি এ কূপটি সংস্কার করা হয়। এ কূপের কাহিনী নিয়ে কিছুদিন আগে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। মা অষ্টভূজা: মহেশখালী আদিনাথ শিব মন্দিরের পার্শ্বে অষ্টভূজা নামে অপর একটি বিগ্রের মূর্তি রয়েছে। কক্সবাজার কস্তুরা ঘাট হতে নৌযানে ৪৫-৫৫ মিনিট আর স্পিডবোটে ১৫-১৮ মিনিট সময় লাগে। মহেশখালীর গোরকঘাটা জেটি হতে রিকশা যোগে আদিনাথ মন্দির যাওয়া যায়। পরের পর্বে কক্সবাজারের বিভিন্ন সৈকত এবং দ্বীপ এবং সেই সাথে সেখানকার হোটেল, ট্যুরিজম সংস্থা ও যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখা থাকবে। সেইসময় পযন্ত অপেক্ষাতে থাকুন। আশা করি, এ লেখাটি সকল ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অনেক কাজে লাগবে। বিভিন্ন সৈকত এবং দ্বীপ কক্সবাজারঃ কক্সবাজার ভ্রমণ-3

হিমছড়ি কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হিমছড়ি। কক্সবাজার থেকে সেখানে ৩ ভাবে যাওয়া যায়। খোলা জীপ, রিকশা কিংবা ব্যাটারী চালিত রিকশাতে করে সেখানে যাওয়া যাবে। খোলা জীপে গেলে জনপ্রতি ভাড়া ৫০-৭০ টাকা পড়বে। রিজার্ভ নিলে এটি পড়বে ১২০০ -১৫০০টাকা।রিকশা করে যেতে হলে ভাড়া লাগবে ১৫০-২৫০ টাকা। আর ব্যাটারি চালিত রিকশায় গেলে আসা যাওয়ার ভাড়া পড়বে ৪০০-৬০০টাকা। এখানে যাওয়ার পথে উপভোগ করতে পারবেন সৈকত লাগোয়া আকাশ ছোঁয়া পাহাড় ।

লাবণী পয়েন্ট
কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় আছে ছোট বড় অনেক দোকান যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print