
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আনন্দ র্যালিঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় নগরীতে আনন্দ র্যালি করেছেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এই কর্মসূচি পালন করেছে। আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র্যালি বের হয়। এর আগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, নির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ এবং সিইউজের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ।
এ সময় সিইউজের অর্থ সম্পাদক উজ্জল কান্তি ধর, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শুভ, সিইউজে সদস্য দেব প্রসাদ দেবু, যীষু রায় চৌধুরী, জামাল উদ্দিন ইউসুফ, রাশেদ মাহমুদ, অনিন্দ্য টিটো, ফেরদৌস শিপন, এস এম ইফতেখারুল ইসলাম, রাজেশ চক্রবর্তী, বিশ্বজিত বণিক, সোহেল সরওয়ার, আহমেদ কুতুব, বিষু রায় চৌধুরী, প্রীতম দাশ, মুছলেহ উদ্দিন মো. মামুন, জাবেদুর রহমান, বাসু দেব, হুমায়ুন মাসুদ, এম এ হান্নান কাজল, গোলাম ছরওয়ার, চম্পক দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, একাত্তরের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হয়েছে। ৪৬ বছর আগে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতাকামী সাত কোটি মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
‘তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানী বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুররু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।’
সাংবাদিক নেতারা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রকৃত ডাক। বঙ্গবন্ধু সেই ভাষণে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যুদ্ধ ছাড়া বাঙালির মুক্তি হবে না। সেই ঐতিহাসিক ভাষণ এখন শুধু বাংলাদেশ এবং বাঙালির সম্পদ নয়। এটি এখন সারা বিশ্বের সম্পদ। এটি এখন সার্বজনীন ঐতিহ্য।
র্যালি ও সমাবেশ শুরুর আগে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাজানো হয়। র্যালির পর নগরীর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। বাদ্য বাজিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে চট্টগ্রামের সংবাদকর্মীরা এতে মিলিত হন। র্যালি নগরীর জামালখান, চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি।

ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ শোভাযাত্রাঃ
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় আজ ২৫ নভেম্বর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে জাকির হোসেন রোড ঘুরে আবার বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বরে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ব্যান্ডের তালে তালে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন।
এরপর এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এদেশের মানুষকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তিনি বলেন, মেমোরী অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ইউনেস্কোর বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্ব দরবারে নতুন মর্যাদায় সিক্ত হলো। বক্তব্যের পর উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বোয়ালখালীতে আনন্দ শোভাযাত্রাঃ
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র ঐতিহাসিক দলিলের স্বীকৃতি উপলক্ষে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এই আনন্দ শোভাযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ।এতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ হল রুমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে দিশারী খেলাঘর আসরের সদস্যরা।

সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে আনন্দ র্যালী
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সরকারী ঘোষণা মতে সারা দেশের ন্যায় সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্টানের উদ্যেগে এবং উপজেলপ্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ” বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জনের জন্য আনন্দ শোভাযাত্রার অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার (২৫ শে নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ হতে আনন্দ শোভাযাত্রাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিন করে ঊপজেলা পরিষদে এসে শেষ হয়। আনন্দ র্যালীতে উপস্হিত ছিলেন সীতাকুণ্ড ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম, সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব বদিউল আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম চৌধুরী, রেহান উদ্দিন রেহানসহ সীতাকুণ্ড উপজেলার আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগের নেতাকর্মী। র্যালী শেষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। এবং প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বায়তুশ শরফ মাদরাসার আনন্দ শোভাযাত্রাঃ
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘বিশ্বপ্রমাণ্য ঐতিহ্যর’ স্বীকৃতি অর্জন করায় বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার উদ্যোগে এক বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বায়তুশ শরফ মাদরাসা প্রঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। শেষ এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদরাসা অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান। আলোচনা অংশ গ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফরহাদ আলম, প্রভাষক জামাল উদ্দিন, ইকরামুল হক, আরিফুল আজম, মাওলানা শাহজাহান, মাওলানা সালা উদ্দিন, মাওলানা মির্জা জিয়া উদ্দিন, সিরাজুল হক নদভী, খোরশেদুল আলম ও জসিম উদ্দি প্রমুখ।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ প্রফেসর ড, সাইয়্যেদ আবু নোমান বলেন, ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এই ৭ মার্চের ভাষণটি ইউনেস্কোর “বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’র” স্বীকৃতি অর্জন করায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। এই অর্জন বাঙ্গালী জাতিকে আরো উন্নত শিখরে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন।