
নগরীর বাকলিয়া এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া তরুণ আইনজীবি মো. ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মবিরতি পালন করেছে সর্বস্তরের আইনজীবিরা। কর্মবিরতি পালনকালে আদালত ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশও করেছ তারা।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির আয়োজনে কর্মসূচি চলাকালে বক্তরা অবিলম্বে আইনজীবি ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। এ দাবীতে আগামীকাল সোমবার দিনভর কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালে বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুইঘন্টা আইনজীবিরা তাদের পেশাগত কাজ থেকে বিরত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন রায়, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, বার কাউন্সিলের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সমিতির সাবেক সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীসহ অন্যান্য আইনজীবি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য গতকাল শনিবার সকালে আইনজীবি মো. ওমর ফারুক বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ নগরীর বাকলিয়ার বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নীচ তলা থেকে। তার হাত-পা ও মুখ বাধাছিল। এবং পুরুষাঙ্গ কাটা ছিল। পুলিশের ধারণা বাপ্পীকে নির্যাতন চালিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে পুলিশ ২৪ ঘন্টা পরও হত্যাকাণ্ডে কোন ক্লু বের করতে পারেনি।
শনিবার রাতে এই ঘটনায় বাপ্পীর বাবা বাদি হয়ে নগরীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও সহকর্মী আেইনজীবিদের ধারণা করা হচ্ছে আইনজীবি বাপ্পীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রাশেদার হাত রয়েছে। তালাকের আগে উভয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। মামলা পাল্টামামলা করেছে উভয়ে। ঘটনার পর থেকে সাবেক স্ত্রী রাশেদা বেগম পলাতক বলে চকবাজার থানা পুলিশ জানায়।
এদিকে আইনজীবিদের একটি সুত্র দাবী করেছেন আজ রবিবার সকালে পুলিশ কক্সবাজারের চকোরিয়া থেকে সাবেক স্ত্রী রাশেদাকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এ বিষয়ে নগরীর চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আইনজীবি ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যার অভিযোগে এখনো কেউ ধরা পড়েনি। তবে সম্ভাব্য খুনিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
*চট্টগ্রামে পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবি ওমর ফারুক