ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পতিত স্বৈরাচার আর নব্য স্বৈরাচার মিলে মিশে আজ একাকার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে নব্য স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র আজ লুণ্ঠিত, মানবতা বিপন্ন, ভোটাধিকার অবরুদ্ধ, জনগণ আজ একদলীয় স্বৈরশাসনের নির্যাতন-নিপীড়নে পিষ্ট। আইনের শাসন আজ নির্বাসিত, তাই জনগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে আমাদেরকে আবারও অতীতের ন্যায় দলমত নির্বিশেষে রাজপথে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং এই একদলীয় স্বৈরশাসকের কবল থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হবে, নাহয় ইতিহাস আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।

তিনি আজ বুধবার সকালে স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল আয়োজিত “লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্রদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মুহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় নগরীর লাভ লেইনস্থ মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ডা. শাহাদাত আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচার আর নব্য স্বৈরাচার মিলেমিশে আজ একাকার হয়ে গেছে। আশির দশকের ধিকৃত স্বৈরাচার এরশাদ ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। যে স্বপ্ন নিয়ে সেদিন ছাত্রজনতা মিলে তীব্র গণআন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটায় তাদের সে স্বপ্ন আজ কেবলই স্বপ্ন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত সকল শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে খুনী এরশাদের সাথে আতাত করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের জনগণের সম্মুখে নব্য স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ দুই স্বৈরাচার মিলে আজ জনগণের নুন্যতম মৌলিক অধিকারটুকুও হরণ করে নিয়েছে। জনগণের উপর নেমে এসেছে নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আবু সুফিয়ান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব বাংলাদেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিল স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটানোর মাধ্যমে। সেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ও মনোবল ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ। তাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতাকর্মীদেরকেও আবারও দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই দুই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, সাবেক নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, নগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড, কলেজ সমূহ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print