ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে নিখোঁজ নাসিফ ঢাকায় নিহত জঙ্গিদের একজন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নাসিফ উল ইসলাম।

রাজধানীর নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে নিহত তিনজনের মধ্যে আরো একজনের পরিচয় মিলেছে। সনাক্ত হওয়া নিহত দ্বিতীয় জঙ্গি চট্টগ্রামের কিশোর নাসিফ। মহানগরীর কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নাসিফ উল ইসলাম (১৬) আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর স্কুলে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর আর খোঁজ মিলেনি তার।

এ ব্যাপারে সিএমপির চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তার পিতা মো. নজরুল ইসলাম। সাধারণ ডায়েরির তথ্য অনুযায়ী, তাঁর ছেলে মো. নাসিফ উল ইসলাম (১৬) ওই দিন ঘর থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে নাসিফকে উদ্ধার করতে গিয়ে নগর পুলিশ জানতে পারে, নাসিফ নব্য জেএমবির সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এই সূত্র ধরে ১ জানুয়ারি রাতে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে ১০টি গ্রেনেডসহ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা আশফাকুর রহমান (২২) ও মো. রকিবুল হাসান জনি (১৯) পুলিশকে জানায়, তারা নগরের সদরঘাট থানায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাতে জড়ো হয়েছিল।

ঢাকায় নিহত ৩ নব্য জেএমবি।

গ্রেফতারের পর দুই আত্মঘাতী জঙ্গির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, তাদের সদরঘাট থানায় হামলার পরিকল্পনা ছিল। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একজন নারী হওয়ায় তারা সেখানে হামলার পরিকল্পনা নেয়।

আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বাদি হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান একই ইউনিটের পরিদর্শক আফতাব হোসাইন।

পরিদর্শক আফতাব বলেন, গ্রেফতার হওয়া নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নাসিফের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছিলাম। এর মধ্যেই নাসিফের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেল।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীতে নিহত দুইজনের ছবি প্রকাশ করে র‌্যাব সদর দফতর। নাসিফের বাবা-মাকে প্রকাশিত ছবি দেখানোর পর তারা ওই ছবি নাসিফের বলে নিশ্চিত করেছে।

নিখোঁজ নাসিফকে খোঁজতে গিয়ে ১ জানুয়ারি রাতে নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে ১০টি গ্রেনেডসহ এই দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে দায়িত্বরত নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) এএএম হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র‌্যাবের প্রকাশ করা ছবি দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে নাসিফের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এরপর আমাদের ইউনিটের পরির্দশক আফতাব হোসাইন নাসিফের ‍বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে ছবি দেখানোরর পর তারা তাদের ছেলেকে শনাক্ত করেছেন।

গত ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে পশ্চিম নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব।

অভিযানে নিহত তিনজনের মধ্যে মেজবাহ নামে একজনের পরিচয় আগেই পাওয়া গেছে। অপর দুজনের পরিচয় জানতে অভিযানের ছয় দিনের মাথায় তাদের ছবি প্রকাশ করে র‌্যাব। সেই ছবি নজরে আসে চট্টগ্রামের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের।

কে এই নাসিফ ?

এদিকে খবর নিয়ে জানাগেছে, নাসিফের নিজ বাড়ি চন্দনাইশের পাঠানদণ্ডি পশ্চিম কানাইমাদারি গ্রামে। নগরীর চকবাজার থানার সিরাজউদ্দৌলা রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকে। তার বাবা নজরুলের চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেটে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে। নাসিফ কাজেম আলি স্কুল এন্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণীতে পড়তো। গত ৬ অক্টোবর দুপুরে বাসা থেকে বের হবার পর নাসিফ আর ঘরে ফেরেনি।

যোগাযোগ করা হলে নজরুল জানান, প্রায় ১৬ বছর ওমানে প্রবাস জীবনশেষে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের শেষের দিকে তারা চট্টগ্রামে বসবাস শুরু করেন। ২০০০ সালে তিনি বিয়ে করেন। ২০০২ সালে নাসিফের জন্ম হয়। ২০১০ সালে যখন স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় তখন নাসিফের বয়স প্রায় ১০ বছর। এক বোন এক ভাইয়ের মধ্যে নাসিফ বড়।

বাবা নজরুল বলেন, লেখাপড়ায় তেমন মনযোগ ছিল না নাসিফের। সবসময় চুপচাপ থাকতো। দুপুরে স্কুল ছুটি হলেও কখনো বিকেলে আবার কখনো সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতো। এসব বিষয় নিয়ে তাকে মাঝে মাঝে বকাঝকা করা হতো। চলে যাবার সময় দোকান থেকে ৬০ হাজার টাকাও নিয়ে যায় সে। নিখোঁজের পর থেকে তার সাথে আমাদের আর যোগাযোগ হয়নি। তাকে কখনো মোবাইল ফোন কিনে না দিলেও পরে তার রুমে একটি মোবাইল সেট, হিজবুত তাহরীর লিখা বই ও বেশ কিছু কাগজপত্র পাওয়া যায় যা পুলিশকে দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাসা থেকে বের হবার দুই তিন দিন পর নাসিফ প্রথমে শেরপুর নকলায় চলে যায়। সেখানে দুই–তিনদিন অবস্থানের পর ঢাকার যাত্রাবাড়ি চলে আসে। নভেম্বরের শেষের দিকে নগরীর সদরঘাটে এসেছিল। পরে আবার ঢাকায় চলে যায়। সদরঘাটের আস্তানায় দুই জঙ্গি সদস্য ধরা পড়ার বিষয়টি টের পেয়ে যাত্রাবাড়ির বাসা থেকে সরে পড়ে। যার কারণে যাত্রাবাড়িতে অভিযানে গিয়েও সিটিটিসির কর্মকর্তারা তার নাগাল পায়নি।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি হুমায়ুন কবির জানান, নাসিফের বাবা র‌্যাবের কাছে গিয়ে শনাক্ত করার পর সন্তানের মরদেহ আইনগতভাবে তাদের দেওয়া হবে।

আর নাসিফের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের মধ্য দিয়ে নিখোঁজ ডায়েরিটি নিষ্পত্তি করবে চকবাজার থানা পুলিশ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print