ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

গ্রাহকদের কতটা সুবিধা দিতে পারবে ফোর-জি?

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

বাংলাদেশে আজ সোমবার থেকে চালু হচ্ছে ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। ফোর-জি সার্ভিস চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের গ্রাহকরা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেটে তথ্য-আদান প্রদান করতে পারবেন বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি।

তবে ফোর-জি’র পুরো সুবিধে ভোগ করতে গেলে যে ধরণের অবকাঠামো এবং মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট থাকা দরকার, তার ঘাটতি আছে সেটিও স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় এক উন্মুক্ত নিলামে ফোর-জি ফ্রিকোয়েন্সী বা তরঙ্গ বিক্রি করে। বাংলাদেশের দুটি বড় মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীন ফোন এবং বাংলা লিংক এতে অংশ নেয়। নিলাম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে পাঁচ হাজার দুই শ’ ৬৮ কোটি টাকা আসে বলে সেসময় বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহাজাহান মাহমুদ ।

কী সুবিধা পাবে গ্রাহক?

ফোর-জি মোবাইল সেবা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে অনেক আগেই চালু হলেও, বাংলাদেশেই এই সেবা অনেক দেরিতে এলো। ফোর-জি হচ্ছে ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তি। এর আগের প্রজন্মের প্রযুক্তি ছিল টু-জি এবং থ্রী-জি। টু-জিতে কেবল ফোন কল করা এবং টেক্সট মেসেজ পাঠানো যেত। এরপর থ্রি-জি প্রযুক্তিতে মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও কল করা এবং মিউজিক ও ভিডিও ডাউনলোড করার সুযোগ তৈরি হয়। মোবাইল ফোনের থ্রি-জি’তে যা যা করা সম্ভব, তার সবকিছু ফোর-জি’তেও করা যাবে, তবে দ্রুতগতিতে এবং ভালোভাবে। ফোন কলের মান হবে অনেক ভালো, ভিডিও কল করা যাবে ভালোভাবে, দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করা যাবে।

কিন্তু বাংলাদেশে থ্রি-জি সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা যেখানে থ্রি-জি সেবা ঠিকমত দিতে পারেনি, সেখানে এই নতুন সেবা কতটা দিতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

দেশের অভ্যন্তরে ডিজিটাল বিভক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। বড় বড় শহরের মানুষেরা এ সুবিধা পেলেও দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষগুলো এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষক।

বিশ্লেষক আবু সাঈদ খান বলেন, “স্পিড বাড়বে সন্দেহ নেই। তবে অবকাঠামোর দিকটির দুর্বলতা তো আছেই। দেশের অভ্যন্তরে ডিজিটাল বিভক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। বড় বড় শহরের মানুষেরা এ সুবিধা পেলেও দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষগুলো এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে”।

তার মতে, গ্রাহক স্পিড পাবে না, পাবে ভলিউম। তার ওপর গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে তার সিমটি ফোর জি তে আপগ্রেড করার জন্য। কোনধরনের চার্জ নেয়া এ পর্যায়ে অনৈতিক। এই অর্থ নেয়ার অধিকার নেই। টু-জি থেকে যখন থ্রি-জিতে আসে তখন তেো কোনো চার্জ নেয়া হয়নি।

তবে এ পর্যন্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন অপারেটরই গ্রাহকদের মান সম্পন্ন থ্রি-জি সেবা দিতে পারেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন। আর এই নিম্নমানের সেবার কারণে সরকারও কোনো অপারেটরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলেও তিনি এর আগে বিবিসি বাংলার সাথে সাক্ষাতকারে উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print