ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নিরাপদ মহাসড়কের দাবীতে কাল সীতাকুণ্ডের ৪০কি. মি. জুড়ে মানববন্ধন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দুর্ঘটনামুক্ত ও নিরাপদ মহাসড়কের দাবীতে আগামীকাল শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ৪০কিলোমিটার জুড়ে পালিত হবে বিশাল মানববন্ধন।  মহাসড়কের পশ্চিমপাশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। এতে সীতাকুণ্ডের ২শতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, সেবামূলক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১টি পৌরসভার প্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণির পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজককারীরা।

আগামীকালের মানববন্ধন উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বিস্তারিত তথ্য এবং মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ, প্রতিকার ও পরামর্শ এবং দুর্ঘটনা রোধে দাবী পেশ করে লিখিত বক্তব্য রাখেন, মানববন্ধন বাস্তবায়ন পরিষদ এর আহ্বায়ক ও কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোরশেদ হোসেন চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিল্পাঞ্চল সীতাকুণ্ডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সম্প্রতি সড়ক-দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। বিশেষকরে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক দ্বারা পরিচালিত ‘সেইফ লাইন’ পরিবহনের গাড়ীগুলো এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণের আতঙ্কের বস্তুতে পরিণত হয়েছে।  গত তিনমাসে এখানে সড়ক-দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩৩জন আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এক বছবছরে মারা গেছে ১৪২জন। যানবাহনগুলোর মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া, রাস্তাপারাপারের সময় দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে পথচারিদের হতাহতের ঘটনা এখানকার নিত্যদিনের। লাগাতার সড়ক-দুর্ঘটনা মহামারিতে রূপ নেয়ায় সর্বস্তরের সীতাকুণ্ড বাসী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের অংশগ্রহণে আগামীকাল (৭ এপ্রিল) দুর্ঘটনামুক্ত ও নিরাপদ মহাসড়কের দাবীতে সীতাকুণ্ড ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে।

চট্টগ্রামের সিটিগেট থেকে সীতাকুণ্ডের বড়দারোগাহাট পর্যন্ত (দীর্ঘ ৪০কিলোমিটার) ঢাকা-চট্টগ্রাম সম্মতি দিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা, সমাজের সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক মানুষ এ মানববন্ধনে শরিক হবেন।  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকার এ ক্রমবর্ধমান দুর্ঘটনা-সঙ্কট নিরসনের জন্যে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি সরকার ও সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করতে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখবেন।

.

সড়ক-দুর্ঘটনা ঘটবেই-কখনো তা বন্ধ করা যাবে না। তবে এটা যতবেশি কমিয়ে আনা যায়- সে ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপ নিতে আমরা আজ আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি। প্রতিদিন সংবাদপত্রে অনিবার্য খবর হলো সড়ক-দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় অনেক তাজাপ্রাণ, অনেক সুপ্ত সম্ভাবনাকে। পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকের জীবনে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে দুর্ঘটনার জের সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অকালে কোনো মা সন্তানহারা, স্ত্রী স্বামীহারা কিংবা সন্তান পিতৃহারা হোক-তা আমরা কখনো চাই না।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়-মহাসড়ক ফোরলেন হলেও ট্রাফিক ও সড়ক ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে।  মহাসড়কের পাশেই কয়েকটি কনটেনার টার্মিনাল গড়ে ওঠায় পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ গাড়ীগুলো ওল্টোপথে টার্মিনাল ইয়ার্ডে ঢুকা ও বের হওয়ার পাশপাশি মহাসড়কের ওপর এলোপাতাড়ি যত্রতত্র দাঁড়িয়ে এক নৈরাজ্য তৈরি করে, যাত্রীবাহীগাড়ীগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে না, সৃষ্টি হয় যানজট।  তবে এ এলাকার জনসাধারণের সবচে’ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ রুটে চলাচলকারী পরিবহন ‘সেইফ লাইন’। এ লাইনে ১শটির মতো ‘সেইফ লাইন’ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিলেও ২শ’রও বেশি অবৈধভাবে চলছে।  লাইসেন্সবিহীন অনভিজ্ঞ চালকদের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ যাত্রীরা।  মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়।

অন্যদিকে মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে ফুটপাত অবৈধভাবে দখলকরে ভাসমান দোকান গড়ে তোলা, রাস্তার পাশে ইট-বালি রেখে সেখান থেকে গাড়িতে লোড-আনলোড করার ফলে যানবাহন চলাচলে দারুণ অন্তরায় সৃষ্টি হলেও এসব দেখার কেউ নেই। সীতাকুন্ড সদরে সেইফ লাইনগুলোর নির্দিষ্ট কোনো স্টপেজ নেই। রাস্তার পাশে ইচ্ছেমতো এসব গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে লোকজনের চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি হয়। সবকিছু মিলিয়ে এখানকার পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক-দুর্ঘটনা প্রতিকারের জন্যে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয় তা হল-যানবাহনগুলোকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রয়োজনীয়সংখ্যক কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করা। অনির্ধারিতস্থানে গাড়িপার্কিং বন্ধ করা। পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।  মহাসড়কের দুপাশে স্থাপিত অবৈধ দোকান ও বাজার উচ্ছেদ করা।  অতিরিক্ত মাল ও যাত্রীবাহন বন্ধ করা।  ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ। ব্যস্ততম রাস্তায় পথচারি পারাপারের জন্যে ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস ও ইউটার্ন নির্মাণ। গাড়ির লাইসেন্স ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে জালিয়াতি বন্ধ করা। হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদাবাজি পরিহার করে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করা। সর্বোপরি সড়ক-দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কের পাশে স্থানীয় মানুষদের আলাদা সড়ক বা লেন নির্মাণের সরকারী ঘোষণা বান্তবায়ণ করা করার দাবী জানাচ্ছি যোগাযোগমন্ত্রী বা সরকারের সংশ্লিস্ট দপ্তরের কাছে ।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, শিল্পপতি মাস্টার আবুল কাশেম, চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক প্রফেসর একেএম তফজল হক, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল চৌধুরী, সীতাকুণ্ড সাংস্কৃতিক পরিষদ সভানেত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুরাইয়া বাকের, সীতাকুণ্ড সমিতি-চট্টগ্রাম এর সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্যবসায়ী নূরুল আবছার চৌধুরী, চাটগাঁর বাণী’র সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আবুল হাসনাত, পাঠক নিউজ ডট নিউজ এর সম্পাদক ও কলকাতা টিভির ।বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, সীতাকুণ্ড সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন মানিক, সহ সভাপতি মো. ইউসুফ শাহ, সীতাকুণ্ড পৌরসদর ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. বেলাল হোসেন, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং লিবার্টির প্রেসিডেন্ট লায়ন কাজী আলী আকবর জাসেদ, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু, তালুকদার নির্দেশ বড়ুয়া প্রমুখ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট