
জোটের দুই শরিক দল সমর্থন প্রত্যাহার করায় রবিবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। শরিকদের সমর্থন প্রত্যাহারের ফলে প্রধানমন্ত্রী ওলির দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
আস্থা ভোটের মাত্র কয়েক মিনিট আগে তিনি পদত্যাগ করেছেন। জোটভুক্ত দলগুলো একের পর এক সমর্থন প্রত্যাহার করায় এ ভোটে তাঁর সরকার হেরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল।
দেশটির সাবেক মাওবাদীরা অলির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ডাক দিয়েছে।
সিএনএন নিউজ১৮ ডটকমের খবরে বলা হয়, নেপালি কংগ্রেস এবং মাওবাদী দল সংসদে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম দল।
রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (আরপিপি) ও মাধেসি জনঅধিকার ফোরাম নেপাল (ডেমোক্রেটিক) ক্ষমতাসীন জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়। উভয় দল জানিয়েছে, ভোটে তারা বিরোধীদের সঙ্গে থাকবে।
জোটের শরিক দলগুলোর অভিযোগ, ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে জোটের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, অলি তা মানেননি। শরিকদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও তিনি তাদের বঞ্চিত করেছেন। এ কারণেই তারা জোট ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পার্লামেন্টে ভোট শুরুর কয়েক মিনিট আগে সেখানে দেওয়া বক্তব্যে অলি বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভবনে আসার আগে আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছি।’
নেপালের ৫৯৫ সদস্যের পার্লামেন্টে হতে যাওয়া আস্থা ভোটে অলি হেরে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন অলি। যে মাওবাদীদের সমর্থনে ক্ষমতায় বসেছিলেন অলি সেই মাওবাদীদেরই অভিযোগ, অলি ক্ষমতার অংশীদারিত্ব চুক্তির প্রতি সম্মান জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।