
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি-এসসি বলেছেন- গত জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত ৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৩৫ জন লোক বিদেশ গমন করেছে। এবছর তা ৮ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে আমি আশা করছি।
তিনি রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম হতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের বর্হিগমন ছাড়পত্র প্রদান সহ স্মার্টকার্ড ইস্যু এবং হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি নিরলসভাবে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করাই আমার মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ। ইতিমধ্যে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশে কর্মী প্রেরণের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দীন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহার; চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীন; জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজা; জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো পরিচালক আহমদ শামীম আল রাজী; জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার।
মন্ত্রী আরো বলেন জঙ্গী বিষয়টি এখন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান কি করছে, কার সাথে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে তার খোঁজ খবর পিতা-মাতাকেই নিতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যা ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। যারা ধর্মের দোহাই মানুষ হত্যা করছে তারা ইসলামের শত্রু। বর্তমান সরকার কঠোর হস্তে জঙ্গী দমন করছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতায় জঙ্গীদের অনেক পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে। আমি জনগণকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই এদেশে জঙ্গীদের জায়গা হবে না। যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবে ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আরো বলে, চট্টগ্রাম থেকে একক ভিসায় বিদেশ গামীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট, স্মার্টকার্ড ও বর্হিগমন ছাড়পত্রের জন্য ঢাকায় যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই। চট্টগ্রাম থেকে সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। সেবা বিষয়টিকে জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে বর্হিগমন কার্যক্রম চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে দিলাম।
এছাড়া মৃত প্রবাসীদের লাশ ও অসুস্থ প্রবাসীকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। এটি এখন প্রবাসীদের সম্পদ।
উল্লেখ্য যে, স্মার্টকার্ড কার্যক্রমটি ফেব্রুয়ারি/২০১০ সাল থেকে ঢাকাস্থ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো হতে পরিচালিত হতো। এখন থেকে চট্টগ্রাম হতেও সারা বাংলাদেশের বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীরা বহির্গমন ছাড়পত্র ও স্মার্টকার্ড নিতে পারবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহার বলেন- মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মন্ত্রণালয়ের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশ যাত্রীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আশাকরি আগামীতে মন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাফল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
উদ্বোধন ঘোষণা শেষে বিদেশগমনেচ্ছু ৯ জন কর্মীদের মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণ করেন। এছাড়াও মন্ত্রী একজনকে মৃতজনিত অনুদানের ৩ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করেন এবং অপর একজনকে বিদেশস্থ কর্মস্থল হতে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন।