
২০০০ সালের ১২ই জুলাই নগরীর বহাদ্দারহাট এলাকায় শিবিরের ব্রাশ ফায়ারে নির্মমভাবে নিহত আট ছাত্রনেতা হত্যা মামলা পুনঃতদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরন ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বায়েজিদ ও খুলশী থানা আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
১২ই জুলাই দুপুরে নগরীর টেকনিক্যাল মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে টেক্সটাইল, বায়েজিদ, শেরশাহ সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিহতদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত শেষে পুনরায় টেক্সটাইল চত্ত্বরে এক বিক্ষোভ সভার মধ্যমে শেষ হয়।
মহানগর যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ ঈসা, পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুন্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুল ইসলাম সাজিদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ২ নং জালাবাদ ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নান ফেরদৌস, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী, মুরিদুল আলম মুরাদ, মহানগর যুবলীগ নেতা মিল্টন বড়ুয়া, ইয়াসির আরাফাত, জসিম উদ্দিন, রেদওয়ান আহমেদ লেদু, মোঃ এমদাদ, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আশিকুর রহমান খোকন। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলশী থানা যুবলীগ নেতা মোঃ জহির, আবু তাহের, জসিম উদ্দিন, সমিরন বড়ুয়া, বায়েজিদ থানা যুবলীগ নেতা আব্দুল আজিজ, মোঃ জনি, ওসমান গণি, নুরুল আলম, লিটন, সাইফুদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক মোরশেদুল আলম, মোশারফ হোসেন, মোঃ; রাসেল, সদস্য নুরুল হক মনির, রাজিবুর রহমান, মাইনুল হাসান ফাহিম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এ. এম. মহিউদ্দিন বলেন, “আট ছাত্রনেতা হত্যার ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সুস্থ বিচার পায়নি তাদের পরিবার। অনতিবিলম্বে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে খুনীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” একই সাথে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামাত-শিবিরের রাজনীতিও বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবী জানান তিনি।
সভা শেষে নিহতদের দোয়ার জন্য কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি