ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রক্ত দেওয়ার আগে ও পরে করণীয়

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ইংরেজ চিকিৎসক ডাঃ উইলিয়াম হার্ভে ১৬১৬ সালে গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে মানবদেহের অভ্যন্তরে রক্ত প্রবাহিত হয়।

এর অনেক পরে ১৮১৮ সালে ডাঃ জেমস ব্লান্ডেল নামে একজন ইংরেজ ধাত্রীবিদ্যাবিশারদ, রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা দিয়ে সর্বপ্রথম সফলভাবে একজন সুস্থ মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের দেহে রক্ত পরিসঞ্চালন করে তাকে বাঁচিয়ে তোলা হয়।

এভাবেই মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার শুরু এবং এরপর থেকেই মানুষের দেহে রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুর পথ থেকে ফিরিয়ে সুস্থ করা হয়ে আসছে।

রক্তদানে শরীরের কোন ক্ষতি হয়না। ছেলেদের শরীরে ওজনের কেজিপ্রতি ৭৬ মিলিলিটার আর মেয়েদের শরীরে ওজনের ৬৬ মিলিলিটার করে রক্ত থাকে এবং সবারই কেজিপ্রতি ৫০ মিলিলিটার রক্ত সংবহনের জন্য প্রয়োজন হয়, বাকিটা থাকে উদ্বৃত্ত।

অর্থাৎ ছেলেদের ওজনের কেজিপ্রতি ২৬ মিলিলিটার আর মেয়েদের ওজনের কেজিপ্রতি ১৬ মিলিলিটার রক্ত থাকে উদ্বৃত্ত। ফলে ৫০ কেজি ওজনের একটি ছেলের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ ৫০x২৬=১৩০০ মিলিলিটার আর একই ওজনের একজন মেয়ের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ ৫০x১৬=৮০০ মিলিলিটার।

আর স্বেচ্ছা রক্তদানে একজন রক্ত দাতার কাছ থেকে মাত্র ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত সংগ্রহ করা হয়। তাই রক্তদানে শারীরিক কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনাই নেই। আর একজন সুস্থ লোক প্রতি ৪ মাস পরপর রক্ত দান করতে পারেন। মানুষের শরীররে রক্ত উপাদানগুলি প্রতি চার মাস পর এমনিতেই নষ্ট হয়ে নতুন রক্ত উৎপাদিত হয়। তাই রক্তদান করলে শরীরের ক্ষতি তো হয়ইনা বরং আছে অনেক উপকার।

তাই রক্ত দেয়ার পূর্বে এবং পরে একজন রক্তদাতার বিশেষ কিছু কাজ করা উচিত। জেনে নিন রক্ত দেওয়ার আগে ও পরের করণীয় সম্পর্কে-

রক্ত দেওয়ার আগে করণিয়:

# রক্তদাতা যদি কোনো কারণে অসুস্থবোধ করেন তবে সেদিনের মতো রক্ত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

# রক্ত দেয়ার আগে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিন, কিন্তু তৈলাক্ত কিছু খাবেন না।

# রক্ত দানের আগে প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার খাবেন।

# যেদিন রক্ত দেবেন তার আগের রাতে অনেকটা সময় ভালো করে ঘুমিয়ে নেবেন।

রক্ত দেওয়ার পরে করনীয়:

# অনেকটা সময় শুয়ে থাকবেন। হুট করে উঠে বসবেন না বা উঠে দাঁড়াবেন না।

# প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। এই ব্যাপারে মোটেও অবহেলা করবেন না।

# আয়রন, ফোলাইট, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল মাংস, মাছ, ডিম, কিশমিশ, কলা ইত্যাদি ধরণের খাবার বেশি করে খাবেন।

# কয়েক ঘণ্টার জন্য শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন এবং বেশ কিছুদিন সাধারণ সময়ের তুলনায় একটু কম পরিশ্রম করে বিশ্রাম নিন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print