
গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের কোন ধরনের আইনী সহায়তা না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১৪ দল সমন্বয়ক ও আলহাজ্ব এ.বি. এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, গ্রেফতার হওয়া অনেক জঙ্গি আইনের ফাঁক-ফোঁকড় গলিয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে আরও দুর্ধর্ষ জঙ্গিবাদী হয়ে উঠছে। এরা এখন জঙ্গিবাদী নেটওয়ার্কে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
তাই গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের কোন ধরনের আইনী সহায়তা দেওয়া যাবে না। কারণ এরা ইসলাম ও মানবতার শত্রু।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মুরাদপুর মোড়ে ১৪ দল চট্টগ্রামের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চোরা কারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীরা জঙ্গীবাদকে অর্থ যোগানসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমি তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় জঙ্গিরা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জামাতি ছত্রছায়ায় দাওয়াতি বৈঠক করে দেশবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এখানে কোন সিসি ক্যামেরা নেই। তাই জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান।
মহিউদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পেশাদার দুর্ধর্ষ ৯৪ হাজার সেনা এবং তাদের এদেশী এজেন্ট আলবদর রাজাকারকে ঘায়েল করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। তাই সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হাতে তুলে নেয়া লাঠিই যথেষ্ট।
তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মনোবল হারাবেন না। ১৪ দলের নেতাকর্মীরা পাড়ায়-মহল্লায় আপনাদের পাহাড়া দেবে। এলাকার সকল মানুষকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের মোকাবেলা করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই খালেদা জিয়া জাতি ঐক্যের কথা বলছেন। তার ২০ দলীয় জোটের অর্ধেকেরও বেশি দল বাংলাদেশ চাই না। তিনি নিজেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় পেট্টোল বোমায় পুড়িয়ে মানুষ হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুচ ছালাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটি মাত্র অঙ্গুলি হেলনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গুলি হেলনে জঙ্গিবাদ পতন হবে। চট্টগ্রামে জঙ্গিবাদ দমনে আমরা ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় অনুিষ্ঠত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন খালেদ সেলিম, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, তরিকত ফেডারেশন চট্টগ্রামের আহ্বায়ক কাজী আহসানুল মোরশেদ কাদেরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: ্ওয়াকুব, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আতিকুর রহমান, মো: আবদুর রহিম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু ইন্দু নন্দন দত্ত, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম ফারুক, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, মো: আবু তাহের, ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, সহ সম্পাদক শহিদুল আলম ও জহরলাল হাজারী, ন্যাপের মিঠুল দাশগুপ্ত, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল মনসুর, সৈয়দ অমিনুল হক বখতিয়ার উদ্দিন খান, অমল মিত্র, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, মাহবুবুল হক সুমন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, শেখ সরওয়ার্দী, মো: জামাল উদ্দিন, আবদুস শুক্কর ফারুকী, মোবারক আলী, মহিলা কাউন্সিলর জেসমিন পারভিন জেসি প্রমুখ। সমাবেশ শেষে ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ১৪ দলের নেতৃত্বে এক বিশাল পদযাত্রা মুরাদপুর মোড় থেকে পাঁচলাইশ থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় ১৪ দল চট্টগ্রামের উদ্যোগে বন্দরটিলা ওয়ার্ড কার্যালয় চত্বরে সমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।