নব গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর প্রথম সমাবেশ সোমবার বিকেলে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে নবনির্বাচিত সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “দেশ আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, দেশে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নানা ভাবে প্রতিহিংসার ছোবল দিয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্তমান সরকারের বর্তমান সরকারের নির্মম এবং স্বেচ্ছাচারিতা মূলক কর্মকাণ্ড দেশবাসী যখন স্বোচ্ছার হয়ে উঠেছে তখন সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আজ মিথ্যা ও রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় সাজা প্রদান করেছে। ”
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দল আমাদেরকে গুরু দায়িত্ব অর্পন করেছে। সেই দায়িত্ব আমরা নিষ্ঠার সাথে পালন করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলব। সকলকে সাথে নিয়ে অতি স্বল্প সময়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হবে। তাই সকলকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন কমিটির নেতৃত্বে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকলের কাজ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।
সমাবেশে নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “প্রহসনমূলক বিচারে বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক সাজা প্রদান করে ফাঁকা মাঠে নির্বাচনী গোল দেওয়ার চিন্তা যারা করছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বাংলাদেশের মাটিতে বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য কোন নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান যে আস্থা রেখে আমাদেরকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন, আপনাদেরকে সাথে নিয়ে রাজপথে সে আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। প্রবীণ নেতৃত্বকে সম্মান দিয়ে রাজপথের সক্রিয় তারুণ্যের সমন্বয়ে অচিরেই মহানগর বিএনপির একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। এ লক্ষ্যে তিনি সকল নেতা-কর্র্মীর সহযোগিতা কামনা করেন। ”
এসময় দলেরর তৃর্ণমূলের নেতাকর্মীরা গণসংবর্ধনার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম.এ আজিজ, এস.এম সাইফুল আলম, মোঃ আলী, হারুণ জামান, শেখ নুরুল্লা বাহার, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মোঃ শাহআলম, ইস্কান্দর মির্জা, মোঃ সারাউদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, জি.এম আইয়ুব খান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, জয়নাল আবেদীন জিয়া, মনোয়ারা বেগম মনি, বদরুল হায়ের, শাহেদ বক্স, শামসুল হক, মোঃ মহসিন, টিংকু দাশ, এস.এম সালাউদ্দিন, মোঃ সাহেদ, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন বুলু, এইচ.এম রাশেদ খান, মিঠু, সবুক্তিগিন সিদ্দিকী মুক্কী, কাউন্সিলর আলহাজ্ব এ.কে.এম জাফরুল ইসলাম, কমিশনার মাহবুব, মোঃ মহসিন, টিংকু দাশ, এস.এম সালাউদ্দিন, মোঃ সাহেদ, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন বুলু, এইচ.এম রাশেদ খান, মিঠু, হাজী নবাব খান, ইছহাক চৌধুরী আলিম, আবতাব উর শাহিন, হাজী মোঃ তৈয়ব, আকতার খান, আলী আব্বাস খান, কাউন্সিলর ইয়াছিন চৌধুরী আশু, সৈয়দ আহমদ, সৈয়দ সিহাব উদ্দিন, কাউন্সিলর আজম উদ্দিন, আলা উদ্দিন আলী নুর, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, সৌরভ কোম্পানী, মাহবুবুল হক, শামশুল আলম, আব্দুচ সাত্তার সেলিম, মোঃ সেকান্দর, সিহাব উদ্দিন মুবি, মোঃ সালাউদ্দিন, হাসান মুরাদ, দিদারুল ইসলাম, মোঃ সাহাব উদ্দিন, আব্দুল বাতেন, মীর কাওসার এলাহী, শওকত আজম খাজা।