২৩ বছরের আগের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের একটি হত্যা মামলা এখনো কেন নিষ্পত্তি হয়নি সে বিষয়ে বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারককে দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলেছে আদালত। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে ওই মামলার বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানায় ২৩ বছরের আগে হওয়া ওই মামলার এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানির সময় সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে ওই মামলার বিচার শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আব্বাস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ১৯৯৩ সালের ৭ আগস্ট নিহত ব্যক্তির বাবা আবুল খায়ের সন্দ্বীপ থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ১৯৯৩ সালের ১৯ অক্টোবর ফয়েজ উদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ১৯৯৯ সালে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ওই বছরের ১০ আগস্ট সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ধার্য ছিল।
ওই মামলায় আসামি ফয়েজ উদ্দিন গত ১১ মে গ্রেপ্তার হন। পরে নিম্ন আদালতে ফয়েজ জামিনের আবেদন জানালে তা নাকচ হয়। এর বিরুদ্ধে ফয়েজ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। সোমবার এ আবেদনের ওপর শুনানির সময় আদালত ওই আদেশ দেন। পাশাপাশি আবেদনকারী ফয়েজকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে মামলাটি বিচারের জন্য যায়। তবে এখনো বিচার শেষ হয়নি। ১৭ বছর কেটে গেলেও ওই হত্যা মামলাটি কেন নিষ্পত্তি হয়নি, তা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারককে দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন আদালত। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষী হাজির করতে না পারলে বিচারিক আদালতের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।