চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সাধারণ জনগণেরও আশা ছিল নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরো বেগবান আরো গতিশীল করে তুলবে। কিন্তু বর্তমানে বন্দর নির্ভর একটি মাফিয়া চক্র নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেশের আমদানি-রপ্তানিকে জিম্মি করে ফেলেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের ফলে কোন প্রকার আন্তর্জাতিক টেন্ডার প্রক্রিয়া ব্যতিরেকে অনেকটা জবর-দখলকৃত বন্দর পরিচালনা করতে গিয়ে তাদের দখলকৃত নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যতিত অন্যান্য বার্থগুলোকে এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে এবং ষড়যন্ত্রের ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে ভয়াবহ কন্টেইনার এবং জাহাজ জটের মুখে পড়েছে। এ অব্যবস্থা এবং ষড়যন্ত্রের কারণে বিদেশি জাহাজ মালিকরা বাংলাদেশে জাহাজ পাঠাতে অচিরেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বা জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি করতে বাধ্য হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এক বিবৃতি মহিউদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ লাগাতার অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস ইত্যাদি সত্ত্বেও বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিতে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিগত প্রায় ছয়-সাত বছর ধরে আমাদের অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় সাত শতাংশ।
অর্থনীতির এই উৎসাহব্যাঞ্জক উন্নতিতে দেশের আমদানি-রপ্তানি সমানতালে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানীর সিংহভাগ সম্পন্ন হয়ে থাকে। বন্দরের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা মিটাতে এবং বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিণাল নির্মাণ করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে কন্টেইনার এবং জাহাজ জটের কারণে জাহাজ এবং কন্টেইনারের প্রলম্বিত অবস্থানের কারণে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত ভাড়া প্রদানে বাধ্য হচ্ছেন যা পক্ষান্তরে তারা সাধারণ ভোক্তার কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই দেশের বর্তমান গতিশীল অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দরভিত্তিক মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনতাকে সাথে নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পথে নামতে আমি এতটুকু কুণ্ঠিত হবো না।