চট্টগ্রামে জাল সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাসহ সরকারি সুবিধা ভোগীকারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মো.সেলিম চৌধুরী বাবুলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা।
এছাড়া পৃথক এক আদেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাবুলের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রঞ্জন চন্দ্র দে।
গত ২১ নভেম্বর সহকারী কমিশনার রঞ্জন চন্দ্র দে স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী বাবুল ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতা হিসেবে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫শত টাকা উত্তোলন করেছেন।
উত্তোলনকৃত টাকা চালানের মাধ্যমে ফেরত প্রদানের জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়। সেলিম চৌধুরী এতে সাড়া না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে উত্তোলনকৃত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে সরকারি দাবী আইন-১৯১৩ এর বিধান মতে সার্টিফিকেট মামলা রুজু করে খাতকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হয় জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার চট্টগ্রামকে।
এছাড়া গত ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর নির্দেশনা ও ২৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাল সনদ গ্রহণে সেলিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসিকে অনুরোধ করা হয়।
সেলিম চৌধুরী বাবুল নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন রহমতগঞ্জের আবদুস ছাত্তার রোডের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বোয়ালখালী উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ এর সাময়িক মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল করে সরকারি সম্মানীভাতা, উৎসব ভাতাসহ সুযোগ সুবিধা সমূহ ভোগ করে আসছিলেন। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যরাও একই সনদের ব্যবহারের সুযোগ নেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সত্যতা মেলে তদন্তে।
*চট্টগ্রামে সাড়ে ৪ বছর ধরে সরকারী ভাতা নিচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেলিম!
*ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাবুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ
