গরু রক্ষার নামে হিন্দুসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগ আগে থেকেই ছিলো তার বিরুদ্ধে। এবার উঠলো বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ। অবশেষে শনিবার রাতে ভারতীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অসংখ্য অপকর্মের হোতা কথিত গো-রক্ষা দলের প্রধান সতীশ কুমারকে।
গো-রক্ষা দলের সদস্যরা নৃশংসভাবে লোকজনকে মারধর করছে, এমন ভিডিও প্রকাশ্যে আসার দু’বছর পর গত ৬ আগস্ট সতীশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আঘাত করার উদ্দেশ্যে অপহরণ, অন্যায় ভাবে আটকে রাখা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির আরও বেশ কিছু ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে গো-রক্ষা দল ‘কসাইখানায় পাচারের জন্য’ গরু নিয়ে যাওয়া ট্রাকে চড়াও হয়ে চালকদের মারধর, ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করতেন বলেও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
ভারতের সাহারানপুরের এক যুবকের দায়ের করা অস্বাভাবিক যৌন আচরণের অভিযোগে সতীশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে। তাকে অপহরণ করে সতীশ ও তার লোকজন তাকে এবং তার বারীর গরুকে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই যুবক।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিনি জানান, জোর করে রাজপুরার এক গোশালায় তাকে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করেন সতীশ, বাবলু ও আরও ১০-১৫ জন। কয়েকজন তার মুখে প্রস্রাব করে দেয় বলেও জানান তিনি। বাদ যায় নি তার বাড়ির গাভীও।
গত সপ্তাহে সতীশের যৌনবিকৃতির শিকার বলে দাবি করা আরও এক যুবক জানিয়েছিলেন, তাকেও আটকে রেখে তার গরুকেড়ে নেয় সতীশের লোকজন। তার ওপর চালানো হয় যৌন অত্যাচার। পালিয়ে বাঁচতে সতীশ গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন বৃন্দাবনেই। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তে হলো তাকে। সুত্র: তাজাখবর