
বিভিন্ন ব্যাংক এবং ব্যবসায়িদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে পাচঁশত কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের আলোচিত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন কুসুমের গোডাউন দখল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উপজেলাধীন ফৌজদার হাটস্থ বানুবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে সংঘর্ষকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলাধীন ভাটিয়ারী ইউনিয়নের তুলাতলি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মিয়ার পুত্র মো. গিয়াস উদ্দিন কুসুম বিভিন্ন মানুষের ও কয়েকটি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে। গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ই তারিখে প্রায় পাঁচশত কোটি টাকা নিয়ে গিয়াস উদ্দিন কুসুম লাপাত্তা হয় হয়ে যায়।
গত বছরের ১৬ মার্চ দেশে ফিরে এসে কিছু মানুষের ঋণ পরিশোধ করে।
উপজেলাধীন বানুবাজার এলাকায় তার মালিকানাধীন কোটি টাকার ৩টি গোডাউনের মধ্যে ২টি গোডাউন ঋণ পরিশোধের জন্য বিক্রি করে মো.মহসিন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে। তিন মাস পর প্রতারক গিয়াস উদ্দিন কুসুম আবার লাপাত্তা হয়ে যায়।
এ সুযোগে মো. মহসিন কুসুমের বিক্রিত ২টি গোডাউনসহ অবিক্রিত ১টি গোডাউন দখল করে নেয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার সময় বিএমএ গেইট এলাকায় পাওনাদারেরা ঐ অবিক্রিত ১টি গোডাউন দখল করতে গেলে এই সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে ১০ জনের মত আহত হয়।
এ ব্যাপারে মহসিন জানান, গিয়াস উদ্দিন কুসুম দেশে ফিরে এসে আমার কাজ থেকে গ্রহণকৃত ঋণ পরিশোধ করার নিমিত্তে গোডাউন গুলো বিক্রি করে দেয়।
অপরদিকে গোডাউন দখলকারী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, গিয়াস দেশে ফিরে এসে ঋণ পাওনাদারকে টাকা পরিশোধ করার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে যায়। গোডাউনের ভাড়াগুলো গঠনকৃত চার সদস্যদের জমা না দিয়ে মো. মহসিন একাই ভোগ করে আসছে। তাই আমরা এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার স্বীকার হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. ইফতেখার হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলাধীন বানুবাজার এলাকায় গোডাউন দখলে সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে আমি আমার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।