Search
Close this search box.

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

গর্ভধারিনী যখন পাষন্ড…

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

nushrat
মায়ের নির্মমতার শিকার নূসরাত (৬)।

বেদম প্রহারের দগদগে ক্ষত নুশরাত (৬) এর সারা শরীরে জানান দিচ্ছে নির্মমতার। এভাবেই পথের কাঁটা সরাতে নির্যাতন করা হচ্ছে শিশু নুশরাতে উপর।

এ নির্যাতন চালাচ্ছে নিজের গর্ভধারিনী মা শাহানাজ বেগম (৩০)। নির্যাতনের বর্বরতা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি প্রতিবেশীরা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী মীরপাড়ার এক ভাড়াবাসায় চলছে এ নির্যাতন। প্রতিবেশীরা জানান, গত এক মাস আগে শাহানাজ নামের ওই মহিলা বাসা ভাড়া নেন। সাথে ছোট্ট ফুটফুটে নুশরাত নামের একটি মেয়েসহ। সে বাসার রান্না ঘরেই ঠাঁই হয় নুশরাতের। এ একমাসের প্রতিদিনই নুশরাতে আত্মচিৎকার শুনতে হয় প্রতিবেশীদের। কয়েকবার নুশরাত পালিয়ে প্রতিবেশীদের ঘরে কয়েকবার আশ্রয়ও নিয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, বিবেকের তাড়নায় মেয়েটির খবর নিতে গেলে তার মা শাহনাজ হাসি মুখেই জানান পড়ালেখার জন্য মেরেছে। তবে এভাবে কেন মারেন তিনি।

রবিবার (২৮ আগস্ট) নুশরাতের উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। মারের এক পর্যায়ে নুশরাতের শরীরে গুড়ো মরিচ লাগিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিলে পালিয়ে যায় নুশরাত। ছোট্ট পায়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে উপজেলা সদরের একটি দোকানে আশ্রয় নেয় নুশরাত। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুচলেখা দিয়ে নিয়ে আসে মা শাহনাজ। ঘরে এনে আবারো চলে নির্যাতন। এ অবস্থায় প্রতিবেশী এক পরিবার নুশরাতকে নিয়ে যান বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

nushrat 5
এভাবে কেউ নিজের শিশু সন্তানকে মারতে পারে..?

নুশরাত বর্তমানে যে পরিবারের কাছে রয়েছে সে পরিবার জানান, পথের কাঁটা মনে করে মেয়েটিকে মেরে ফেলার চেষ্ঠা করছে। মেয়েটিকে আইন প্রক্রিয়া মাধ্যমে আমাদের দিয়ে দেন আমরা লালন পালন করবো মেয়েটিকে। তারা নুশরাতকে বুকে টেনে নিয়ে পরম মমতায় বড় করতে চান।

নির্যাতনে যন্ত্রণা কাতারে থাকা নুশরাত তার মায়ের সাড়ায় মৃদু হাসে, হাজার হোক মা তো-এমনটি বলে প্রতিবেশী মায়েরা কান্না ভেঙ্গে পড়েন। প্রতিবেশীরা আরো জানান, নুশরাতের যন্ত্রণা আত্ম চিৎকারের পরিসমাপ্তি চাই, সে ব্যবস্থায় করতে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ জানান।

shahanaj
শাহনাজ বেগম, মা রূপী একজন পাষণ্ড নারী।

এ ব্যাপারে নুশরাতে মা শাহনাজ জানান, উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী মিয়ার বাপের বাড়ীর মমতাজ সওদাগরের মেয়ে তিনি। ২০১০ সালে ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শাকপুরা ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া পাড়ার মুন্সি মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক নুর উদ্দিন (৩৫) সাথে বিয়ে হয়। এরপর নুশরাতের জন্ম হয়। নুর উদ্দিন উৎশৃঙ্খলা জীবন যাপন করতো। মদ জুয়া খেলার কারণে পরিবার থাকে বের করে দেয়। বিয়ের পর থেকে সে আমতল এলাকায় ভাড়াবাসা থাকতেন শাহনাজ। নুশরাতের জন্মের দু’বছর পর নুর উদ্দিনের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তবে যোগাযোগ আছে বলে জানায় শাহনাজ। নূর উদ্দিন অন্যজনকে বিয়ে করেছে বলে জেনেছে শাহনাজ।

এরপর শাহনাজ পটিয়া উপজেলার মো. লিটন নামের একজনকে বিয়ে করেছেন বলে জানায়। সে চন্দনাইশে একটি ইট ভাটায় কাজ করে। মাঝে মাঝে আসে শাহনাজের কাছে। লিটন নুশরাতকে অসম্ভব স্নেহ করে বলে দাবি করেন শাহনাজ।

nushrat 3
নির্মম নির্যাতনে ফুটফুটে এ শিশুর ক্ষতবিক্ষত দাগ।

শাহনাজ কিছুই করে না জানিয়ে বলেন স্বামী যা খরচ দেয় তাতে সংসার চলে। নুশরাতকে এভাবে কেন মারেন জানতে চাইলে সে জানায়, আরবী পড়া সে না পড়ায় মেরেছে। বর্তমানে সাড়ে ৪হাজার টাকা ভাড়ায় এক মাসে আগে মীরপাড়ায় বাসা উঠেন।

স্থানীয়রা জানায়, শাহনাজ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। সে বাসায় অপরিচিত বিভিন্ন মানুষজনের যাতায়াত রয়েছে। তবে কখনোই তার স্বামীকে দেখেননি। কারা আসে কারা যায় সে ব্যাপারে জানেন না। মুলত নুশরাত মায়ের অনৈতিক কর্মকান্ডের বাঁধা হয়ে যাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এ নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নুশরাত বড় ধরণের বিপদের সম্মুখীন হতে পারে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

শাহনাজের পাশের ভবনের প্রতিবেশী বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. খায়রুল হাসান বলেন, খুবই মর্মান্তিক বিষয়টি। এভাবে যদি চলতে থাকে মেয়েটি যেকোনো সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে নয়তো মারা যাবে। আমি শাহনাজ নামের মহিলাটিকে এ জন্য বেশ কয়েকবার বলেছি। তারপরও নির্যাতন থামছে না।

এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি মর্মান্তিক। মা যদি মেয়েকে এভাবে মারে। তবে আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। নুশরাতের মায়ের মুচলেখা নিয়েছি।

সর্বশেষ

ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ চূড়ান্ত পর্যায়েঃ তাজুল ইসলাম

দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা, সদলবলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আড়াই কোটি বিদেশী মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

বেক্সিমকোর সব সম্পত্তি দেখভাল করতে রিসিভার নিয়োগের লিখিত আদেশ

অপরাধী হলেও যেন তাকে আইনের হাতে তুলে দেয়া হয়, ঢাবি-জাবির ঘটনা দুঃখজনকঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিল্পী সংঘের ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কার কমিটি’র প্রধান তারিক আনাম

নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাচ্ছে বিএনপি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print