ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

‘কলঙ্কিত’ কিছু পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা আছে : সিএমপি কমিশনার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান বলেছেন,  ‘কলঙ্কিত’ পুলিশ সদস্যের মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা আছে । মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে পুলিশ-সাংবাদিক-রাজনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ‘দহরম-মহরম’ অর্থাৎ সুসম্পর্ক রয়েছে।

সিএমপি কমিশনার আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ডবলমুরিং থানা এলাকায় স্থাপিত সিসিটিভি নেটওয়ার্ক কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশ এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, আগামী রমজানের মধ্যে ঈদের আগে সারা শহর সিসি ক্যামেরার আওতার মধ্যে নিয়ে আসবো। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা জানি বিছিন্ন ভাবে পাড়া, মহল্লা অথবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক স্থানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা চাচ্ছি এই সিসি ক্যামেরাগুলো একটি নেকওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রতিটি থানার সাথে সংযুক্ত করতে। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক সহ প্রায় অর্ধেকেরও বেশি শহর সিসি ক্যামেরার আওতা আনা হয়েছে। যারা এই কাজে সহযোগিতা করছেন তারা নিজের পরিবার, পরিবেশ, এবং সমাজকে সুরক্ষিত করছেন। এই কাজে সকলকে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান এবং সকলে মিলে এই শহরকে একটি নিচ্ছিন্দ্র নিরাপদ শহর গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মাদক বিক্রি প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার বলেন, মাদকের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকের সঙ্গে আমাদের পুলিশ বাহিনীরও কিছু কলঙ্কিত লোকের সংশ্লিষ্টতা আছে। আমরা তাদেরকে শনাক্ত করতে চাই এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত আছে। আমরা প্রতিবছর এমনকি প্রতিমাসে এরকম অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়ে থাকি। তারা চাকরিচ্যুত হয় অথবা জেলখানায় যায়।

পুলিশ সদস্য ও রাজনীতিবিদদেরে উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব, যারা আড়ালে-আবডালে, পরোক্ষভাবে মাদক বিক্রিতে সহযোগিতা করছেন, তারা এই পথ থেকে সরে আসবেন। কোন পুলিশ সদস্য মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে মাদক বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হবেন না। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে এমন কাউকে আপনাদের রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বে বসাবেন না। দয়া করে আপনারা মাদক বিক্রেতাদের জনপ্রতিনিধি বানাবেন না। পুলিশ মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে দহরম-মহরম রাখলে পুলিশ যেমন পরিত্যাজ্য তেমনি মাদক বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া জনপ্রতিনিধিও পরিত্যাজ্য। সবাই মিলে এগিয়ে না এলে এই সমাজ রক্ষা করা যাবে না।

উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম, দি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম,মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহ্বায়ক এম. এ. মালেক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর)  মোঃ হামিদুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মোঃ ফারুক উল হক, অফিসার ইনচার্জ সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print