ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফাঁসি কার্যকর করতে কাশিমপুর কারাগারে আইজি প্রিজন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

IG-Prison
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন)।

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেন।

তিনি সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি, কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার ও জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর ফাঁসি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এর আগে, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে। শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর এ আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ।

এর মধ্যেই মীর কাসেমের স্ত্রী, কন্যাসহ পরিবারের মোট ৪৩ জন সদস্য ৬টি মাইক্রোবাস করে তার সঙ্গে দেখা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন গত ৩০ আগস্ট আপিল বিভাগ খারিজ করে দেওয়ার পর কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ ছিল মীর কাসেমের সামনে। তবে শুক্রবারই তিনি প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার কথা কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। তাই এখন যে কোনো মুহূর্তে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরে বাধা নাই। তবে ফাঁসি কার্যকর করতে কারা কর্তৃপক্ষের জন্য সরকারের নির্বাহী আদেশ পাওয়া প্রয়োজন ছিল। এবার সেই আদেশও পেয়েছেন তারা। বিভিন্ন ‍সূত্র থেকে জানা গেছে, শনিবার রাতেই তার ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ১৯ জুন মীর কাসেম আলী আপিলে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করতে ২১ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করে তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

ওই দিন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন দুই মাস সময়ের জন্য আবেদন করলে আদালত এক মাস সময় মঞ্জুর করে ২৪ আগস্ট শুনানির দিন নির্ধারণ করেছিলেন। পরে ওইদিনই রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। ২৮ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে ৩০ আগস্ট মামলাটির রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ৩০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন।

সেদিনই ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর তা তা ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন রায়ের বিষয়টি মীর কাসেমকে অবহিত করে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা জানতে চায় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে মীর কাসেম প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন রাজধানীর মতিঝিলে তার মালিকানাধীন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় জামায়াতের এই ব্যবসায়ী নেতাকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে মীর কাসেম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আপিল করেন। চলতি বছর ৮ মার্চ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। সেই রায়ের অনুলিপি ৬ জুন প্রকাশিত হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print