
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারির পরও স্বাস্থ্য সেবায় ফিরছেনা শৃঙ্খলা। চট্টগ্রাম শহরের ৪১টি ওয়ার্ডকে ডবলমুরিং এবং পাঁচলাইশ থানার সমন্বয়ে বিভক্ত করে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যেখানে একজন মেডিকেল অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। গেল বছরের ৭ আগস্ট পারিবারিক কারনে দুইমাসের ছুটি নেন পাঁচলাইশ পরিবার পরিকল্পনার মেডিকেল অফিসার। কিন্তু দুইমাসের ছুটি নিয়ে নয় মাস পার হলেও কর্মস্থলে যোগদান করেননি তিনি। তিনি কোথায় আছেন, কেন আসছেন না তারও কোন উত্তর নেই কতৃপক্ষের। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, গেল বছরের ৭ আগস্ট থেকে পারিবারিক কারনে ৬০ দিনের ছুটিতে যান পাচঁলাইশ থানা পরিবার পরিকল্পনার মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রীতা পাল। দেশে অবস্থান করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই ছুটির মেয়াদ গেল বছরের ৬ অক্টোবর শেষ হলেও এখনও কর্মস্থলে যোগদান করেননি তিনি। দেশে অবস্থান করার শর্তে দুই মাসের ছুটি নিয়ে নয় মাসেও উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা ছাড়া কর্মস্থলে যোগদান না করায় ব্যাহত হচ্ছে থানা পরিবার পরিকল্পনা ও ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম। ডাক্তার রীতা পাল কোথায় আছেন, কর্মস্থলে কখন ফিরবেন, আদৌ ফিরবেন কিনা এসব বিষয়ের কোন সদুত্তর নেই বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে। তবে তিনি নিয়মিতই বেতন তুলছেন।

তবে দুই মাস ছুটি শেষ হলে আরো একমাস ছুটি বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিল। কোমর ব্যথার কথা উল্লেখ করে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এই ছুটির আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ সে ছুটি বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর করেন নি। এর পরও গত ৯ মাসেও রীতা পাল তার কাজে যোগ দেন নি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. উ খ্যে উইন বলেন, তিনি অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছেন। তবে এখনো কর্মস্থলে যোগ দেননি। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন অফিসকে জানানো হয়েছে। তাই তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে, ডা. রীতা পালের অনুপস্থিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন বোয়ালখালী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শামীমা হাসনাত। বাধ্য হয়ে দুই নৌকায় পা দিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। জানতে চাইলে ডা. শামীমা হাসনাত বলেন, অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করছি। সপ্তাহে তিনদিন করে দুই জায়গাতেই অফিস করতে হয়। দুই স্থানে কাজ করলে একটু কষ্টতো হবেই।
এ বিষয়ে ডাক্তার রীতা পালের সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যাইনি তাকে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে জানাযায় বর্তমানে তিনি কানাডার সাসক্যাচুয়ান শহরে অবস্থান করছেন। ডাক্তার রীতা পালের কর্মস্থলে অনুমতিহীন অনুপস্থিতি একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে তেমনিভাবে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।