
রাজশাহীতে বড় ভাইয়ের বদলে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সজল মিয়া রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লার তোফাজ উদ্দিনের ছেলে। সজলের বড় ভাইয়ের নাম সেলিম ওরফে ফজল। গত এক মাস থেকে সজল জেল খাটছেন।
গত রবিবার আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া সেলিম দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক রয়েছেন। ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট তার অনুপস্থিতিতে মামলার রায় হয়। গত ৩০ এপ্রিল সেলিমকে ধরতে সজলের বাড়িতে অভিযান চালায় নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ। সেদিন সজলকে গ্রেপ্তার করে সেলিম নাম দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে পুলিশের দাবি, তারা সঠিক আসামিকেই চিনেছেন। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার নাম সেলিম এবং তিনিই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সজলের পক্ষ থেকে আদালতে মুক্তি চেয়ে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যে আবেদন করা হয়েছে তাতে সজলের চার ভাই ও চার বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ সজলের জমি খারিজের ডিসিআর, জমির দলিলসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেয়া হয়। এ ছাড়া সজল ও তার ভাই সেলিমের ছবি সম্বলিত এবং স্ট্যাম্পের কপিও দাখিল করা হয়েছে।
সজলের আইনজীবী মোহন কুমার সাহা বলেন, ‘অপরাধী না হয়েও সজল সাজা ভোগ করছেন। হয়তো ভুল করে অথবা প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্দোষ সজলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আগামী ১১ জুন সজলকে আদালতে হাজির করে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।’
এ বিষয়ে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আমরা ঠিক আসামিকেই ধরেছি। মামলার সাক্ষীরা আসামিকে শনাক্ত করেছেন। এ নিয়ে তারা এফিডেফিটও করে দিয়েছেন। সেটি আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।’
তবে ভুল আসামি দাবি করে আদালতে মুক্তির আবেদনের বিষয়টি জানা নেই বলে জানান ওসি।