ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আদালতেই মারা গেলেন মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসি মারা গেছেন।( ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাহে রাজিউন)।  কারাগার থেকে আদালতে নেয়ার পর তার ‘মৃত্যু’ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। আজ সোমবার আদালতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আদালতে মুরসির বিচার চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

৬৭ বছর বয়সী মুরসি ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।

মিশরের সংবাদপত্র জানায়, এদিনের শুনানিতে মুরসিকে তার বক্তব্য তুলে ধরার অনুমতি দেয়া হয়। শুনানিটি মুলতবি করার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।

৬৭ বছর বয়সী মুরসি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তাকে একটি হাসপাতালে নেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে গণমাধ্যমটিতে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটিতে।

গত বছরের মার্চ মাসে ব্রিটিশ রাজনীতিক ও আইনজীবীদের একটি প্যানেল জানায়, কারাগারে মুরসির শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়, এমনকি এর ফলে তার মৃত্যুও হতে পারে।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত মুরসিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে এই প্যানেলকে তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানায় পরিবারের সদস্যরা।

তখন প্যানেলটি এক বিবৃতিতে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার ফলে মুরসির শারীরিক অবস্থা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে তিনি অকালে মারা যেতে পারেন।

কিন্তু ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা এবং কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য ক্রিসপিন ব্লান্টের নেতৃত্বাধীন প্যানেলটির বক্তব্যকে মোটেও গুরুত্ব দেয়নি মিশরের সরকার।

দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০১১ সালে মিশরের ইতিহাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন মুরসি।

তার সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি নেতৃত্বে ২০১৩ সালে পরিচালিত একটি সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্রাদারহুডের মুরসি। কিন্তু ২০১৩ সালে গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

২০১৩ সালে মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি পাচার করেছেন।

২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত। আদালত দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print