চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক পাষন্ড ছেলে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিম মেখলে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মুসা (৫৭)।
জানোগেছে, ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সারেক ধারাল দা’র কোপে বাবা মুছা নিহত হয়েছেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, মেখল ইউনিয়নে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্যে।
তিনি বলেন জানান, স্থানীয় লোকজন আমাদের বলেছে খুনি ছেলেটি মানসিক রোগী। কেন খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নিহতের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন(৪২), মেয়ে ফারজানা নিশু(১৫) সাইফুল ইসলাম সারেক স্থানীয় নগেন্দ্র নাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৩.৬৩ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে সে হাটহাজারী আলীপুর রহমানিয়া স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
কিন্তু ১ বছর ধরে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। এ সময়ের মধ্যে সে একবার তার পিতাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলো। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে সে ডাক্তারকেও আঘাত করে। দ্ররিদ্র পিতা তার চিকিৎসা ব্যয় মিটাতে হিমসিম খেয়ে যেতো। তার এমন আচরণে পরিবার ঘর থেকে ধারালো দেশীয় তৈরি অস্ত্র লুকিয়ে রাখতো।
কিন্তু আজ সে ভোতা একটি কোদাল দিয়ে পরিবারের সবার অজান্তে সে তার পিতাকে কোপ দিয়ে খুন করে। নিহত মুছার ২ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সাইফুল ইসলাম সারেক সবার বড়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সিনিয়র এএসপি মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা নিহতের পুত্র সাইফুল ইসলাম সারেককে আটক করেছি। খুনে ব্যবহার করা কোদাল জব্দ করেছি। প্রাথমিকভাবে সে মানসিক রোগী বলে জানতে পেরেছি। সবকিছু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’