ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত বিএনপির

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আট বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। নীতিনির্ধারকরা কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করছেন। এ মুহূর্তে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রত্যাশা ও সাহস জোগানো প্রয়োজন।

বিভাগীয় সমাবেশ কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশ সফল করতে মহানগর ও জেলা নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। মূল দলের পাশাপাশি অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তারা বসছেন।

আগামী দিনে করণীয় সম্পর্কেও তাদের গাইডলাইন দেয়া জরুরি। ফলে নির্বাচনের পর ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে। এর ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনে আন্দোলন-সংগ্রামসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডেও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কমিটি পুনর্গঠন কেন্দ্র করে সারা দেশে বিএনপির তৃণমূল চাঙ্গাও করা হচ্ছে। মনোবল ফিরিয়ে এনে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আট বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড।

এ ব্যাপারে  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। আমাদের এখন মূল কাজই হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত নেতাকর্মীদের জাগিয়ে তোলা। তাদের স্বপ্ন দেখানো।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আমরা জেলাগুলোর কমিটি আপডেট করছি। যারা যোগ্য ও ত্যাগী এবং আন্দোলন-সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিলেন, তাদেরই নেতৃত্বে আনা হচ্ছে। এতে তৃণমূলে প্রাণ ফিরে আসবে বলে তিনি আশা করেন।

নানা কারণে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণে বারবার পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মাঠের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।

নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর তৃণমূলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে উজ্জীবিত করতে কোনো গাইডলাইন বা দিকনির্দেশনা ও মনিটরিং ছিল না। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এমন পরিস্থিতিতে দলটিতে ফের পুনর্গঠন শুরু হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় কাউন্সিল করার টার্গেট নিয়ে এ প্রক্রিয়ায় হাত দিয়েছে দলটি। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন কাজ শেষ করা হবে।

৮১ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৩ জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েক দিনে নাটোর, রাজশাহী, পাবনা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ কয়েকটি জেলার আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে।

বাকি ৪৮টি সাংগঠনিক জেলার কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। বেশ কয়েকটি জেলার নতুন কমিটি গঠনের কাজ প্রায় শেষ। শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে।

জেলা কমিটিগুলোকে দ্রুত উপজেলা ও পৌর কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এমন নির্দেশনা পেয়ে জেলা নেতারাও কাজ শুরু করেছেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে আট বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই এ কর্মসূচি শেষ করা হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এসব সমাবেশ হলেও এর মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে চান নীতিনির্ধারকরা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print