বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগে তানিয়া (১৪) নামে এ মেয়েটি বিয়ের দাবীতে ৫ দিন অনশন করে প্রেমিক আবু রায়হান (২২) এর বাড়িতে।
সোমবার রাতে বিষপান করলে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা য়ায় তানিয়া। সে উপজেলার বাঁশতৈল নয়াপাড়া পাঁচগাঁও গ্রামের কাতার প্রবাসীর মেয়ে ও বাঁশতৈল নয়াপাড়া হাজী ময়েজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার ৯নং বহুরিয়া ইউনিয়নের মুন্দিরাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু রায়হান (২২)-এর সাথে মোবাইলের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের একপর্যায়ে রায়হান ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে রায়হানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানাভাবে টালবাহানা শুরু করে। গত শুক্রবার ওই ছাত্রী রায়হানদের বাড়িতে অবস্থান করে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। আর এ খবর পেয়ে প্রতারক প্রেমিক রায়হান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সোমবার সারাদিন ওই বাড়িতে অবস্থান করার পরও রায়হানের পরিবার বিয়েতে রাজি না হলে রাতে সে বিষপান করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই ছাত্রী মারা যায়। আর এ ঘটনার পর থেকেই রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। মির্জাপুর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় আহত ওই ছাত্রীটিকে কুমুদিনী হাসপাতালে দেখার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আহসান হাসিব খান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ও কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুর রহমান দেখতে যান। তারা তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মঙ্গলবার সকালে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।