পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ার লাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী নুরুদ্দিন আহমেদ এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও দেশে ফিরেছেন।
খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। এ সময় আরো ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনু, আব্দুস সালাম আজাদ, আবু সাঈদ খোকন, নূরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, শহীদুল ইসলাম বাবুল, কাজী আবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম, আমিনুল হক, নুরুল ইসলাম নয়ন, সুলতানা আহমেদ, সাহানা আক্তার সানু, রাজীব আহসান প্রমুখ।

এদিকে বিএনপি সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান, তারেকের মেয়ে জায়মা রহমান, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি লন্ডনে ফিরে গেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
পবিত্র হজ পালনের জন্য বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের রাজকীয় অতিথি হিসেবে গত ৭ নভেম্বর হজ করতে বাংলাদেশ থেকে খালেদা জিয়া এবং লন্ডন থেকে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা জেদ্দা পৌঁছেন।
খালেদা জিয়ার এটি তৃতীয় হজ। এর আগে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার এবং ১৯৯৭ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে তিনি হজ করেন। তবে গত বছর ছাড়া প্রায় প্রতিবছরই রমজানে তিনি ওমরাহ পালন করেন। তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির এটি প্রথম হজ। ২০১৪ সালে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ওমরাহ করেছিলেন।