
চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইয়ং ইকোনমিক সোসাইটি (ইয়েস) এর উদ্যোগে বাজেট অলিম্পিয়াড – ২০১৯, চট্টগ্রাম রিজিওন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বর্ণিক বৈশ্য ও জাকিয়া আজিজের যৌথ সঞ্চালনা ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট বিষয়ক কর্মশালাটিতে প্রধান অতিথি সিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবীদ এবং ইউজিসি অধ্যাপক ড.মইনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া মূল বক্তা হিসেবে বাজেট বিষয়ক প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.আমিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইয়েসের সভাপতি মিশুক রায়। এএছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইয়েসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, সাবেক সভাপতি রাশেদ রাজীব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল খসরু, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সংগঠনের উপদেষ্টা নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
সংগঠনের পরিচিতি বিষয়ক প্রেজেন্টেশন দেখান ইয়েসের সহ- সভাপতি মো: দিদারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের মাথাপিছু গড় জিডিপি ৬১ ডলার থেকে ১৯০৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিতে আমরা বিশ্বের উচ্চ বৈষম্যের দেশগুলোর মধ্যে একটি। তাই আমরা অনেক ক্ষেত্রে সফল হলেও মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কতটুকু দিতে পেরেছি এবং এক্ষেত্রে কতটুকু সফল হয়েছি সেটাই মূল্যায়ন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাজেটের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ইয়াং ইকোনোমিক সোসাইটি (ইয়েস) এর এমন একটি আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশ গড়ার উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলো। তখন ১০ বছরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেছিলো। কিন্তু আমাদের সেখানে ৪৩ বছর লেগেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যদিও বলা হচ্ছে রাস্ট্রের মালিক জনগন। কিন্তু রাষ্ট্রের রাজত্ব চলে গেছে কয়েক হাজার কোটিপতির হাতে। এই বৈষম্য দূরীকরণে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।
অধ্যাপক ড.মইনুল ইসলাম বলেন , আমরা ১৯৭১ সনে যখন ৭ কোটি মানুষ ছিলাম, তখন আমাদের ধান উৎপাদন ছিলো ১ কোটি ১০ লক্ষ টন। বর্তমানে আমরা ১৭ কোটি মানুষ। আমাদের উৎপাদন এখন ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টন। তাছাড়া রপ্তানিতে ১৯৮১ সনে আমাদের যেখানে আয় ছিলো ৭৫ কোটি ডলার। সেটা এখন ৪২০০ কোটি ডলার। প্রায় ৫০ গুনেরও বেশি। এছাড়াও প্রতিবছর প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাচ্ছি আমরা। যা আমাদের শহর এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাজেট অলিম্পিয়াডের রিজিওনাল রাউন্ডে বিজয়ীদের পুরষ্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।অলিম্পিয়াডে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬ শত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।