
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নিচের পর্যায়ের সদস্যদের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণেই হলি আর্টিজান মামলার দুই আসামি আইএসের প্রতীক চিহ্নিত টুপি পরে এজলাসে উঠতে পেরেছে বলে মনে করেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা। কারা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো না কোনো পর্যায়ের গাফিলতির কারণেই এ ঘটনা।
বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে আট আসামির মধ্যে সাতজনেরই সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় শেষ হয়েছে ভয়াবহ এ হামলার বিচারকাজ। তবে এসব ইতিবাচক বিষয় ছাপিয়ে আলোচনায় দুই আসামির আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি মাথায় দেয়ার বিষয়টি।
ঘটনার দিনের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে প্রিজনভ্যানে আদালতে নিয়ে আসার সময় রাকিবুল ইসলাম রিগ্যানের মাথায় কোনো টুপিই ছিল না। হাজতখানায় ঘণ্টা দেড়েক রাখার পর এজলাসে তোলার সময় তার মাথায় দেখা যায় কালো রংয়ের একটি টুপি। এর মিনিট পনের পর রায় ঘোষণা শেষে এজলাস থেকে বের করে নিয়ে আসার সময় তার মাথায় ছিলো আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি। কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় কোনো এক সময় টুপিটি পরেন তিনি। একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গি দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা অবস্থায় কিভাবে এমন টুপি সংগ্রহ করলেন- প্রশ্ন ছিলো সাবেক পুলিশ প্রধানের কাছে।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাথায় এটা ঢুকেই নাই। এখানে পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। এখানে যারা নিচে বলতে কনস্টেবল আছে তারা এত মনযোগী নয়।
সাবেক উপ কারা মহাপরিদর্শক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিক বলেন, এই ধরনের সময় কারাগারে পড়া নিষেধ এবং তারা পড়ার অনুমতিও দেবে না।
কারা পুলিশের সাবেক উপ মহাপরিদর্শক বলছেন, পুরো বিষয়টি খোলসা হওয়ার জন্য আগাম কোনো মন্তব্য না করে তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন।
এ কে এম শহীদুল হক আরো বলেন, জেলখানায় কোনো যোগাযোগের মাধ্যম নেই। বরং জঙ্গিরা একত্রিত হয়ে তারা আরো শক্ত হয়েছেন।
তবে দুজনেই মনে করেন, যেভাবেই এই কাণ্ড হয়ে থাকুক না কেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি করতেই হবে।