খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:

কড়া পুলিশের প্রহরায় খাগড়াছড়িতে জাতীয় শ্রমিকলীগের দুই গ্রুপ পৃথকভাবে সংগঠনের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন করেছে।
সকালে একটি গ্রুপ দলীয় কার্যালয়ের সমানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেট কাটেন পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী) যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা। পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যারী শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে টাউন হলের সামনে স্থাপিত চেতনা মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অপর্ন করে।
এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: জাহেদুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো: রইছ উদ্দিন,জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের একাংশের আহবায়ক নুরুন্নবী ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে জাতীয় শ্রমিক লীগের অপর গ্রুপটি জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে টাউন হলের সামনে স্থাপিত চেতনা মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অপর্ন শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কল্যান মিত্র বড়ুয়া।
এ সময় বিশেষ অতিখি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর কিশোর চাকমা অটল ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, জেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব মো: শানে আলম,জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভানেত্রী ও জেলা পরিষদ সদস্য নিগার সুলতানা, জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল চাকমা,মংশেপ্রু চৌধুরী,খোকনেশ্র ত্রিপুরা,যুকলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা ও জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের অপর অংশের আহবায়ক জান সিকদারসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত,গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানের প্রেক্ষিতে চলতি বছরে ২০ ফের্রুয়ারী জেলা প্রশাসক জেলা আওয়ামীলীগের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াজিদুজ্জামান জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় প্রশাসন বাধ্য হয়ে দলীয় অফিসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সমঝোতা হলে তালা খুলে দেওয়া হবে।