চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মো. সায়েম পদত্যাগের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন শহীদ জিয়া। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শহীদ জিয়ার সাফল্য বহুবিধ।
তিনি আজ ১৯ জানুয়ারী রবিবার সকালে নগরীর বিপ্লব উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন-শহীদ জিয়া নানা সংকটে বিধ্বস্ত “তলাবিহীন জুড়ি” আখ্যাপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় অধিষ্ঠিত করে দেশের ইতিহাসে একজন সফল ও মহান রাষ্ট্রনায়কের খ্যাতি লাভ করেছিল।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শহীদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের আত্মসামাজিক উন্নয়নকল্পে ব্যাপক ভিত্তিতে কর্মসূচী গ্রহণ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এবং জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন, দ্রততর প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ইত্যাদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে শহীদ জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করছি দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, যেখানে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বশবর্তী হয়ে তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে একদলীয় আওয়ামী সরকার। এই স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত হতে হলে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে এগিয়ে এসে দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করতে হবে। শহীদ জিয়া এদেশের উন্নয়নের জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে গেছেন। শহীদ জিয়ার খালকাটা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিতে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছিল।
স্বপ্নদষ্টা এই মহান নেতার জীবন যাপন করতেন খুব সাধারণভাবে। কিন্তু দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রেও মাধ্যমে শহীদ জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে দুপুর ১১ টায় বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণ, ১২ টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জিয়া যাদুঘর পরিদর্শন,বাদে জোহর দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনস্থ জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন,মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, সামশুল আলম, ইকবাল চৌধুরী, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, সামশুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, মো. সালাহ উদ্দিন, সম্পাদকবৃন্দ এডভোকেট এইচ এম রাশেদ খান, হামিদ হোসেন, বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, কাউন্সিলর মো. আজম, জাহিদুল হাসান, থানা আফতাবুর রহমান শাহীন, এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, আবু মুসা, আবদুল হাই, নগর সদস্য জাকির হোসেন, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী সামশু, মো. হারুন, হাসান ওসমান প্রমুখ।
