
চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে ছাত্রী নির্যাতনকারী সে শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আবেদন এবং বাশঁখালি ছাত্রলীগের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুমকির পরপরই বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনুর রশিদ মামুনকে বহিস্কার করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।
বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ জানান, উপজেলার পুঁইছড়ি ইজ্জতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ সাময়িক বহিস্কার করেছে।
উল্লেখ্য বাঁশখালী উপজেলায় ইজ্জতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় শিক্ষক এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রামের জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক (শিক্ষা) বরাবর আবেদন করা হয়।
বুধবার সকালে শিক্ষক মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর ভাই ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হেলাল উদ্দিন জানান, শনিবার সকালে শ্রেণীকক্ষে ‘পড়া না পারার’ অজুহাতে তার অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া বোনকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজির খন্ডকালীন শিক্ষক মামুন।

এ সময় তার বোন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে তিন ঘন্টা শ্রেনীকক্ষে রেখে দেওয়া হয়। পরে গ্রাম্য চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ঐ ছাত্রী চমেকের ২৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার তিনদিন পার হতে চললেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনী ও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধমে আলোচিত হতে থাকলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজীম রণি উদ্যোগ নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) চট্টগ্রামকে নগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে।
এর প্রেক্ষিতে বাশঁখালি শিক্ষা অফিসারের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং নিদের্শে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনুর রশীদকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি পাঠক ডট নিউজকে বলেন, শিক্ষক কর্তৃক্ষ ছাত্রীকে শাররিক নির্যাতনের খবর পাওয়ার পরপরই আমি নিজ দায়িত্ববোধ থেকে এ ব্যাপারে কিছু করা দরকার এবং প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করেছি। শিক্ষকরা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের শাসন করবে। কিন্তু তার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। শুধুমাত্র পড়া না পারার কারণে একজন কিশোরীকে কোন শিক্ষক মেরে হাসপাতাল পাঠাতে পারেন না। তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।