ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বিলাসবহুল গাড়িটি আজহারীর নয়, তবে কার..?

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

হঠাৎ করে ‘তাফসিরুল কোরআন’ মাহফিল স্থগিত করে গবেষণার কাজে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে আজহারীর গাড়ি চালানোর কিছু দৃশ্য।

ছবিতে দেখা গেছে, মিজানুর রহমান আজহারী একটি ‘বেন্টলি’ গাড়ি চালাচ্ছেন যার বাজারমূল্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা।

ছবিগুলো আজহারী বিরোধী বিভিন্ন ফেজবুক পেজ ও ‘নাইদরেইনস’ নামে এক আইডি থেকে পোস্ট করে প্রশ্ন ছোড়া হচ্ছে, ইসলামের একজন দাঈ হয়ে মালয়েশিয়ায় কি করে এতো দামি গাড়ি কেনেন আজহারী? মাহফিলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) ও সাহাবাদের ত্যাগি ও সাদাসিধে জীবনের কথা বলে মালয়েশিয়ায় কি তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন?

সমালোচনাকারীরা বলছেন, দেশে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেই মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন আজহারী।

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আজহারীভক্তদের সঙ্গে তার বিরোধীরা তুমুল বাকবিতণ্ডায় মেতেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বিলাসবহুল গাড়ি আজহারীর নয় এবং তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়ে এ গাড়ি চালাননি। ছবিগুলো তার সম্প্রতি তোলা নয়ও বলে জানা গেছে।

মূলত এ গাড়িটি আজহারী চালিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। আর গাড়ির মালিকের নাম – সাহিদুজ্জামান টরিক।

সাহিদুজ্জামান টরিকের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সাহিদুজ্জামান টরিক সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। তার দেশের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। ছয়-সাত মাস আগে টরিকের নিমন্ত্রণে এক মাহফিলে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান মিজানুর রহমান আজহারী। সে সময় সেখানে টরিকের এই গাড়িতে চড়ে সিঙ্গাপুর ঘুড়েন। তিনি নিজেও অল্প কিছু সময় গাড়ি চালান। সে সময় তোলা ছবিগুলোই আজহারী বিরোধীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে অপপ্রচারে নেমেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, গাড়ির নেমপ্লেট দেখলেই বোঝা যায় এটা মালয়েশিয়ার কোনো গাড়ি নয়। এখানে SJZ888IR লেখা। আর এমন নেমপ্লেট সিঙ্গাপুরের গাড়িগুলোর হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাহিদুজ্জামান টরিকের বন্ধুত্ব রয়েছে। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আজহারী যোগ দিয়েছিলেন। ওই মাদ্রাসার পরিচালকই সাহিদুজ্জামান টরিক।

সেদিন প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মাহফিলের আয়োজন করা হলেও মুসল্লিরা জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা ও যানবাহনে দাঁড়িয়ে আজহারীর বক্তব্য শোনেন। আজহারীর বক্তব্যের সময় সাহিদুজ্জামান টরিককে তার পাশেই দেখা গেছে।

আলোচনার শুরুতে আজহারী বলেন, এ মাহফিলের আয়োজক সাহিদুজ্জামান টরিক আমার বড়ভাই। তিনি একজন শিল্পপতি ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। সিঙ্গাপুর গেলে আমি তার কাছেই থাকি। গত কোরবানি ঈদে সেখানে তার তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকটি ইসলামি প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি।

তবে এ বিষয়ে সাহিদুজ্জামান টরিকের কোনো বক্তব্য নেয়া যায়নি।

চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত সেই মাহফিলে সাহিদুজ্জামান টরিকে ব্যাপারে আজহারীর বক্তব্যটি শুনুন

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print