ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মলম পার্টি, পকেটমার, পাতি নেতা ও ক্যাসিনো মেম্বার নিয়ে কাজ করতে হয়: সিইসি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বৈশ্বিক চিন্তা করলেও কাজ করতে হয় স্থানীয়ভাবে। কেননা, আমাদের কাজ করতে হয় মলম পার্টি, পকেটমার, পাতি নেতাদের নিয়ে।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ৪৯ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার যোগদান উপলক্ষে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী এক কর্মশালায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক সময় বলা হয়, আমেরিকা এমন করে, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিতে এইরকম হয়। আমাদের এখানে হয় না কেন? সেদিন একটা পলিটিক্যাল পার্টি এসেছিল, আমি অত্যন্ত নিচুগলায় বললাম কানেকানে, আগে সুইজারল্যান্ড হতে হবে, তারপরে। ইউ মাস্ট থিঙ্ক গ্লোবালি, বাট অ্যাক্ট লোকালি। সেটা সে কী অবস্থায়, তার ওপর নির্ভর করে।’

‘আমাদের দেশে তো মলম পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। ব্যাগ টানা পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের দেশে ক্যাসিনো মেম্বার নিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের পকেটমার নিয়ে কাজ করতে হয়।’

সিইসি বলেন, দেখা গেল যে একবার এই যে গুলিস্তানে, মহল্লায়, যারা এই যে হকারদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিছুদিন পর হয়তো দেখা গেলো, নেতা, পাতি নেতা, উপ-নেতা তারপর পূর্ণ নেতা। তারপর কমিশনার। এগুলোওতো আমাদের দেখতে হয়। হু নোজ যে একদিন এমপি হবেন না তিনি। সুতরাং সেই ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়।’

নতুন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের, যারা সবকিছু নিয়ে কাজ করেন, তাদের সামাল দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। এই দায়িত্ব আর কারো উপর দেওয়া হয়নি। তার মানে সমাজের সর্বস্তরের সংমিশ্রণগুলো, তার সবগুলো আপনারা একসঙ্গে পেয়ে যাচ্ছেন। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার উপায় হলো চেষ্টা, দক্ষতা ও একাগ্রতা। আর আপনাদের ব্যক্তিত্ব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এটা নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। আমরা বলি কী-সেই একই কথা, যে সুইজারল্যান্ডে তো পেপার ভোট হয়। কিন্তু সেখানে তো যুদ্ধের মতো বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হয় না। পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নামাতে হয় না। পোস্টারে আকাশ দেখা যায় না, বাতাস আসে না। সেই দেশে তো এমন হয় না। তাই বলে কী আমাদের এখানে নির্বাচন করতে হবে না। সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।

কেন ইভএম? ইভিএমের ফলেই এখন আর সেই দশটা হোন্ডা, বিশটা গুণ্ডার যুগ নেই। এদের ভাড়া করতে প্রার্থীদের যেতে হবে না। যারা ভোট ছিনতাই করবে, এদের কাছে যেতে হবে না। আর নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকে তাদের পেছনে যারা টাকা দেয়, তাদের কাছেও যেতে হবে না। একমাত্র ইভিএমই পারে, ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের নিয়ে যেতে।

ঢাকা সিটি নির্বাচনেই বিরাট বিরাট মিছিল, পোস্টারে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম ৮০ শতাংশ ভোট হবে। কিন্তু ‍উল্টো হলো। মনে হয়, এটা আমার ধারণা যে, প্রার্থীরা ভোটারের কাছে না গিয়ে রাস্তায় গিয়েছে। আসল যে সম্পত্তি যেখানে, ভোট দেবেন যারা, তাদের কাছে যায়নি, ভোট কম পড়ার এটা একটা কারণ।

ইসি সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print